| |
               

মূল পাতা স্বাস্থ্য ‘আত্মহত্যার অন্যতম কারণ হলো- ইগো ও ডিপ্রেশন’


‘আত্মহত্যার অন্যতম কারণ হলো- ইগো ও ডিপ্রেশন’


স্বাস্থ্য ডেস্ক     12 September, 2022     08:05 PM    


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়-বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আত্মহত্যা হলো ইনটেনশনালি নিজেকে মেরে ফেলা। আত্মহত্যার অন্যতম কারণ হলো ইগো। আরেক কারণ হলো ডিপ্রেশন। ইদানীং ডিপ্রেশন বেড়ে গেছে। করোনায় অনেকের ডিপ্রেশনের কারণে ব্লাড প্রেশারও বেড়ে গেছে, ডায়াবেটিস যাদের ছিল না তাদেরও ডায়াবেটিকস হয়েছে, চোখের পাওয়ার বেড়ে গেছে। অনেকে চশমা পরতেন না, তাদেরও চশমার প্রয়োজন হয়েছে। জেনেটিক কারণেও অনেকে আত্মহত্যা করে থাকে। পরিবারের মধ্যে কারো যদি এ ধরনের টেনডেন্সি থাকে, তাদের এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।

আজ (১২ সেপ্টেম্বর) সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে ‘বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষে মনোরোগবিদ্যা বিভাগের সুইসাইড ক্লিনিকের উদ্যোগে আয়োজিত একটি বৈজ্ঞানিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মনোরোগবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ফাতেমা জহুরার সঞ্চালনায় ও সহকারী অধ্যাপক ডা. এসএম আতিকুর রহমানের সমন্বয়ে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, এনডিডি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ডা. গোলাম রাব্বানী, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিস্টের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. ওয়াজিউল আলম চৌধুরী, এটিসিবির সভাপতি অধ্যাপক ডা. ঝুনু শামসুন নাহার। এছাড়া সেমিনারে ‘ম্যানেজমেন্ট অব সুইসাইড সারভাইভারস’র ওপর প্যানেলিস্ট হিসেবে বিশিষ্ট মনোশিক্ষাবিদ অধ্যাপক ডা. এম মুহিত কামাল আলোচনা করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন মনোরোগবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নাহিদ মাহজাবিন মোরশেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএসএমএমইউর মনোরোগবিদ্যা বিভাগের সুইসাইড ক্লিনিকের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. মহসীন আলী শাহ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সহকারী অধ্যাপক ডা. সিফাত-ই-সাইদ।

বিএসএমএমইউ ভিসি বলেন, একা থাকার সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার বেড়ে যায়। এ কারণে অনেকে আত্মহত্যার দিকে ধাবিত হচ্ছে। ১৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের আবেগ বেশি থাকে। এ আবেগের কারণে ছেলে-মেয়েরা প্রেম ভালবাসার দিকে ঝুঁকে পড়ে। প্রেম-ভালবাসাজনিত বিচ্ছেদের কারণে আত্মহত্যার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। ১৫ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে মানুষের ইগো বেশি থাকে। এ সময়ে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি থাকে। এ বয়সের ছেলে মেয়েদের সময় দিতে হবে বাবা-মা অথবা অভিভাবকদের। এ বয়সের ছেলে-মেয়েরা কোথায় যাচ্ছে, কী করছে এসব বিষয়ে অভিভাবকদের খোঁজ-খবর রাখতে হবে। সম্প্রতি আত্মহত্যা বেড়ে যাবার কারণ ও প্রতিকার বের করার জন্য গবেষণায় মনোযোগ দিতে মনোরোগবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ও রেসিডেন্টদের নির্দেশনা দেন তিনি।