| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ‘ইনশাআল্লাহ সিলেট থেকেই আ’লীগের পতন শুরু হবে’


‘ইনশাআল্লাহ সিলেট থেকেই আ’লীগের পতন শুরু হবে’


রহমত ডেস্ক     25 July, 2022     05:58 PM    


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আওয়ামী লীগের স্টাইলে নির্বাচনে যাওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই, ভোটারবিহীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধিনে দেশে আর কোন নির্বাচন হবে না। দেশে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধিনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য প্রয়োজন হলে হাজার হাজার নেতাকর্মী জীবন দেবে। ইনশাআল্লাহ সিলেটের এই পবিত্র মাটি থেকেই আওয়ামী লীগের পতন শুরু হবে। অনেক দিন আগে আমরা হায় হায় কোম্পানির নাম শুনেছিলাম। যারা না কি মানুষের কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়ে এক সময় পালিয়ে যেত। আজ দেশের অবস্থা হায় হায় কোম্পানির মতো হয়ে গেছে। দেশকে হায় হায় কোম্পানিতে পরিণত করেছে আওয়ামী লীগ।

আজ (২৪ জুলাই) সোমবার দুপুরে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন ও ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাবের যৌথ উদ্যোগে বন্যাদুর্গত মানুষদের জন্য ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, বিনামূল্যে ঔষধ প্রদান ও দরিদ্রদের মাঝে কাপড় বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ড্যাবের সভাপতি ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে জেডআরএফের মনিটর ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম ও জেডআরএফের সদস্য ড. খায়রুল ইসলাম রুবেলের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা  আমানউল্লাহ আমান, ড. এনামুল হক চৌধুরী, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানি, ড্যাবের মহাসচিব ডা. আব্দুস সালাম, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, স্বাস্থ বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী, সিলেট জেলা সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, সিলেট মহানগর আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী, ড্যাবের সহসভাপতি ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প উপকমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. সিরাজুল ইসলাম, সিলেট জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, সিলেট মহানগর সদস্য সচিব মিফতাহ্ সিদ্দিকী প্রমুখ।

মির্জা আব্বাস বলেন, আজ সারা দেশের কোথাও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক নেই। আওয়ামী লীগ জনগণকে বিদ্যুৎ দেওয়ার কথা বলে কুইক রেন্টালের নামে তাদের দলীয় লোকদের ধনি করতে দেশের টাকা লুটপাট করেছে। ডিজেলের জন্য অনেক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এখন বন্ধ রয়েছে, আর ৩৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে উৎপাদন না করলেও তাদেরকে ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ ৩৪ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বিদ্যুতের কোনো খবর নেই। বিদ্যুৎ সেক্টরে এই লুটপাট না হলে আজ বানভাসি মানুষকে পুনর্বাসন করা যেত। দেশে ডিজেল নেই, বিদ্যৎ নেই। শুধু নেই আর নেই। দেশে আজ কিছুই নেই। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগের লুটপাটের কারণে দেশের মধ্য আয়ের মানুষরা আজ নিম্ন আয়ের মানুষে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বেসামাল লুটপাট করে দেশকে আজ হায় হায় কোম্পানিতে পরিণত করেছে। এই দেশ একদিন এভাবেই শেষ হয়ে যাবে।

তিনি আরো বলেন, স্মরণকালের এই ভয়াবহ বন্যায় পুরো সিলেটজুড়ে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সব নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে ছিলেন। আজ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কোনো নেতা বা সংগঠন মানুষের চিকিৎসার জন্য আসে নাই। সিলেটের কৃতি সন্তান ডা. জোবায়দা রহমান দেশ এবং দেশের মানুষকে ভালোবাসেন। এ জন্য সুদুর লন্ডনে থেকেও বার বার নিজ এলাকার মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বন্যার সময় ত্রাণ সহায়তা দিয়েছেন। এখন বন্যা পরবর্তী সময়েও মানুষদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন।