রহমত ডেস্ক 21 July, 2022 04:04 PM
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, শ্রীলঙ্কায় রাজাপাকসে একাই দেশ ত্যাগ করেছেন। আমাদের এখানে শেখ হাসিনা একাই দেশ ত্যাগ করবেন না। আওয়ামী লীগের ওপর থেকে নিচ সবাই দেশ ত্যাগ করবে। শ্রীলঙ্কার ঘটনা বাংলাদেশে ঘটবে এটা বলছি না। বাংলাদেশে যা ঘটবে তখন পৃথিবীর মানুষসহ শ্রীলঙ্কার ঘটনা সবাই ভুলে যাবে। কারণ অনেক মিথ্যা প্রতিশ্রুতি এ সরকার দিয়েছে। তারা বললেন, এদেশকে সিঙ্গাপুর বানাবেন। এখন বাংলাদেশ আজিমপুরের কাছাকাছি। আমার দেশের মানুষ গ্যাস পাচ্ছে না, আর সরকার প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে গ্যাস রপ্তানির চুক্তি করে। পানির জন্য কৃষকের হাহাকার আর ফেনী নদীর পানি ভারত নিয়ে যাচ্ছে। বর্ষায় বাঁধ খুলে দিয়ে দেশকে ভাসিয়ে দিচ্ছে।
আজ (২১ জুলাই) বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতার শিষ্ঠাচার বহির্ভূত ও ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীর সভাপতিত্বে দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম ও উত্তরের সাধারণ সম্পাদক গাজী রেজওয়ানুল হোসেন রিয়াজের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ প্রমুখ।
গয়েশ্বর বলেন, লাখো নয়, কোটি জনতা বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। আগামীতে বাংলাদেশে যা ঘটবে তারপর পৃথিবীর মানুষ শ্রীলঙ্কার কথা ভুলে যাবে। সরকার বিদ্যুৎ-গ্যাস ও পানির দাম বাড়িয়েছে। এর প্রতিবাদ যাতে না করেন এজন্য আওয়ামী লীগ বিএনপি নেতাদের গালি দেয়। এজন্য খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ বিএনপি সব নেতাকে তারা গালি দেবে। কিন্তু আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, গালি যাই দিক কানে শুনলাম না। শেখ হাসিনা সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করতে হবে। সেই কাজটাই এখন আমাদের জরুরি।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে আমরা কেন কথা বলি। আমরা তো নির্বাচনে যাব না। তবে একটা কথার উত্তর দিতে হয়। নির্বাচন কমিশন বলেছে, ভোটের দিন যদি কেউ তলোয়ার নিয়ে আসে, তাহলে প্রতিপক্ষ পাল্টা রাইফেল নিয়ে নামবে। আমরা যদি তলোয়ার আর রাইফেলই হাতে নিই, তাহলে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করবো কেন। তার আগে আপনাদের বিদায় করবো। সাংবিধানিক পদে থেকে সন্ত্রাসকে উসকানি দিচ্ছেন তারা। জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন।