| |
               

মূল পাতা জাতীয় ২৩ দেশের সাথে অর্থনৈতিক চুক্তির সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী


২৩ দেশের সাথে অর্থনৈতিক চুক্তির সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী


রহমত ডেস্ক     09 June, 2022     09:05 PM    


পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ঢাকা ইতোমধ্যেই ২৩টি দেশের সাথে বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক চুক্তির সম্ভব্যতা যাচাই সম্পন্ন করেছে। বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক কূটনীতি অনুধাবনে দেশ নতুন বাজার উন্মুক্ত করছে। দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি ও সমন্বিত অর্থনৈতিক চুক্তি জন্য আমরা ইতোমধ্যেই ২৩টি দেশের সম্ভাব্যতা যাচাই করেছি। বেশ কয়েকটি দেশের সাথে অগ্রাধিকারভিত্তিক ও মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিদেশে সকল বাংলাদেশী মিশন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাথে গভীরভাবে যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক কূটনীতিতে আমাদের লক্ষ্য অর্জনে অধিকতর প্রচেষ্টা চালাতে আমার সকল সহকর্মী ও মিশন প্রধানদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আজ (৯ জুন) বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমীতে প্রথম অর্থনৈতিক কূটনৈতিক সপ্তাহ উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। অর্থনৈতিক কূটনীতি সপ্তাহের উদ্বোধনী অধিবেশনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে কিছু রূপকল্প প্রণয়ন করেছেন। ওই রূপকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে আমাদের দুটি প্যাকেজ প্রবর্তন করতে হবে- একটি হচ্ছে অর্থনৈতিক কূটনীতি এবং অপরটি হচ্ছে- গণকূটনীতি এবং তারা পরস্পরকে শক্তিশালী করবে।’ ২০২৬ সালের মধ্যে আমাদের দেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিধায় অর্থনৈতিক কূটনীতি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ। ২০৩০ টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ঠ (এসডিজি) ও ২০৪১ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমাদের জাতীয় প্রচেষ্টায়ও এটি গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পরও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে জিএসপির মতো বড় বাজারগুলোতে বাংলাদেশী পণ্যগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রবেশ নিশ্চিত করতে বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলো অক্লান্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের পোশাক খাত জিএসপি প্লাস স্কিমের রুলস অব অরিজিনের শর্ত পূরণে ‘ডাবল ট্রান্সফরমেশন’ অর্জনে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ইন্ডাস্টিজকে ধাপে ধাপে শক্তিশালী করার জন্য ইতোমধ্যেই সক্রিয় রয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশের রপ্তানিযোগ্য নিটওয়্যারের প্রায় ৮০ শতাংশেরই ডাবল ট্রান্সফরমেশন চলছে, যার মধ্যে ওভেন পোশাক প্রায় ৫০ শতাংশ।

তিনি আরো বলেন, সিরামিক শিল্প, জাহাজ-ভাঙ্গা শিল্প, সিমেন্ট শিল্প, ওষুধ শিল্প এবং তথ্য প্রযুক্তির মতো জ্ঞান-ভিত্তিক শিল্পকে অগ্রাধিকার দিয়ে আমাদের রপ্তানি খাতকে বহুমাত্রিক করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ কোরিয়াতে রোবট, ভারতে জাহাজ এবং ইউরোপে ফার্মাসিউটিক্যালস রপ্তানি করছে। একটি ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ বাজারে সংহত করা ছাড়াও, বাংলাদেশ একইসঙ্গে ভারত, চীন এবং আসিয়ান দেশগুলোর সঙ্গেও একটি কৌশলগত কেন্দ্র। বর্তমানে বাংলাদেশে এ অঞ্চলের সবচেয়ে উদার বিনিয়োগ ব্যবস্থা রয়েছে, যা ব্যাপক সুযোগ-সুবিধা, আকর্ষণীয় প্রণোদনা নীতি এবং ধারাবাহিক সংস্কারের বৈশিষ্ট্যযুক্ত। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শিল্প, কর্মসংস্থান, উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধি এবং বৈচিত্র্যের মাধ্যমে বিনিয়োগ ও দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও ২৮টি হাইটেক পার্ক তৈরি করা হচ্ছে।  বর্তমান সরকার শিল্পের প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে এবং আমাদের কৌশলগত অবস্থানের পূর্ণ সুবিধা নিতে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। পদ্মা সেতু, দেশের দীর্ঘতম সেতু, এই মাসের ২৫ তারিখে উদ্বোধন হতে চলেছে...এর ফলে দেশের মোট দেশজ উৎপাদন ১.২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। প্রথমবারের মতো অর্থনৈতিক কূটনীতি সপ্তাহ পালন গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি এমন প্রেক্ষাপটে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন ইউক্রেন সংকটের কারণে কোভিড-১৯ থেকে বিশ্বব্যাপী পুনরুদ্ধারের কাজটা করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। সঙ্কটটি আমাদের দেখিয়েছে যে, আজকের পরস্পরসংযুক্ত বিশ্বে, যে কোনো জায়গায় একটি ঘটনা সর্বত্র সকলকে প্রভাবিত করে।