| |
               

মূল পাতা আন্তর্জাতিক উপমহাদেশ ওয়াকফ দেওবন্দের শুরা সদস্য মাওলানা যাকারিয়া সিদ্দিকীর ইন্তেকাল


ওয়াকফ দেওবন্দের শুরা সদস্য মাওলানা যাকারিয়া সিদ্দিকীর ইন্তেকাল


আন্তর্জাতিক ডেস্ক     28 May, 2022     10:52 PM    


ভারতের দারুল উলুম ওয়াকফ দেওবন্দের শুরা সদস্য মাওলানা যাকারিয়া সিদ্দিকী নানুতবী ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। শনিবার (২৮ মে) বিকালে তিনি ইন্তেকাল করেন বলে দারুল উলুম ওয়াকফ দেওবন্দের অফিসিয়াল ফেসবুক থেকে এ তথ্য জানা যায়।। দারুল উলূম দেওবন্দ ওয়াকফের রুকনে শুরা মাওলানা যাকারিয়া সিদ্দিকী নানুতবী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি। তিনি প্রসিদ্ধ আলেমে দীন ও দায়ি ইলাল্লাহ ছিলেন।

আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া দারুল উলুম ওয়াকফ দেওবন্দ বা দারুল উলুম ওয়াকফ দেওবন্দ (হিন্দি: दारुल उलूम वक्फ, देवबंद, আরবি ও উর্দু: الجامعۃ الاسلامیۃ دارالعلوم وقف دیوبند‎‎) ভারতের একটি মাদরাসা। ক্বারী মুহাম্মদ তৈয়্যব কাসেমী রাহমাতুল্লাহি আলাইহির সাথে ১৯৮০ সালে দারুল উলুম দেওবন্দের প্রাশাসনিক বিরোধের ফলে ১৯৮২ সালে আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশ্মীরির পুত্র মাওলানা আনসার শাহ কাশ্মীরী রাহমাতুল্লাহি আলাইহির সহযোগিতায় তাঁরই পৃষ্ঠপোষকতায় (ক্বারী মুহাম্মদ তৈয়্যব কাসেমী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) তাঁর সুযোগ্য সন্তান মাওলানা সালেম কাসেমী প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৬৬ সালের ৩১ মে প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্বখ্যাত মাদরাসা দারুল উলুম দেওবন্দ। যার প্রতিষ্ঠার মূল নায়ক ছিলেন মরহুম মুহাম্মদ কাসেম নানুতাবি। তাঁর পরবর্তীতে তাঁরই দৌহিত্র কারি মরহুম মুহাম্মদ তৈয়্যব কাসেমি। ১৯২৮ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির মুহতামিম (উপাচার্য) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তৈয়্যব কাসেমি।

কিন্তু গোলযোগ দেখা দেয় দারুল উলুম দেওবন্দের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত মহাসম্মেলনের পর। দারুল উলুম দেওবন্দকে কখনও তিনি রাজনীতির ব্যানারে নেয়াটাকে পছন্দ করতেন না। তাঁর পরিচালিত মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডটিও কোনো রাজনৈতিক সংগঠন ছিলো না, বরং ভারতীয় মুসলমানদের অধিকার আদায়ের একটা অন্যতম প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করতো। এসবের সঙ্গে রাজনৈতিক কিছু ইস্যু যোগ হয়। ফলে প্রতিষ্ঠানটির দেড় শতাধিক দায়িত্বশীল তাঁর সঙ্গে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। পড়াশুনো বন্ধ থাকে প্রায় ছয় মাস। ১৯৮২ সালে তাঁরই পৃষ্ঠপোষকতায় তাঁর ছেলে সালেম কাসেমি প্রতিষ্ঠা করেন দারুল উলুম ওয়াকফ দেওবন্দ। এরপর দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যকার মতনৈক্য বিভিন্ন আকার ধারণ করে। কিন্তু কারী মুহাম্মদ তৈয়ব স্পষ্ট করে বলে দিলেন, ‘ইখতিলাফ বাত সে হোতা হ্যায় আওর খেলাফ জাত সে হোতা হ্যায়।’ তাই ভুল বোঝাবুঝির কিচ্ছু নেই। উলামায়ে দেওবন্দ সবসময়ই ঐক্যবদ্ধভাবে থাকবে। আর সেই বাস্তব রূপ এলো ২০০৪ সালে। দু’পক্ষের দুজন তথা মূল দেওবন্দ হতে মরহুম সাইয়্যিদ আসআদ মাদানি ও ওয়াকফ হতে মরহুম সালেম কাসেমি এগিয়ে এলেন। আজ অবধি তা পূর্ণ বহাল রয়েছে। পরিচালক (উপাচার্য) মরহুম কারি মুহাম্মদ তৈয়্যব কাসেমির দৌহিত্র সুফিয়ান কাসেমি। দারুল উলুম ওয়াকফের গবেষণা বিভাগ ‘হুজযাতুল ইসলাম একাডেমী’। এই একাডেমী দেওবন্দের পণ্ডিতদের বিশেষত মুহাম্মদ কাসেম নানুতুবির আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করে। আরবি ও ইংরেজি ভাষায় ও স্থানীয় ভাষায় লেখনী প্রকাশনা, বক্তৃতা সহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় এই একাডেমীর ব্যানারে।