| |
               

মূল পাতা আন্তর্জাতিক উপমহাদেশ হিন্দি ‘পানি পুরি’ বিক্রেতাদের ভাষা : কে পনমুডি


হিন্দি ‘পানি পুরি’ বিক্রেতাদের ভাষা : কে পনমুডি


আন্তর্জাতিক ডেস্ক     13 May, 2022     10:08 PM    


হিন্দিকে ‘পানি পুরি’ বিক্রেতাদের ভাষা বলে অভিহিত করে ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী কে পনমুডি বলেছেন, কেউ কেউ বলেছেন হিন্দি শিখলে চাকরি পাবেন। আপনারা কি চাকরি পাচ্ছেন? আমাদের শহর কোয়েম্বাটুরে গিয়ে দেখেন, তারা পানি পুরি বিক্রি করছেন। তারা পানি পুরির দোকান চালান।

শুক্রবার তামিলনাড়ুর এক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ভারতিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল আর এন রবি উপস্থিত ছিলেন। রাজ্যের জনগণের ওপর হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, এখানে কারও ওপর হিন্দি বা অন্য কোনও ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।

তামিলনাড়ুর উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ইংরেজি এখন আন্তর্জাতিক ভাষা। তামিলনাড়ুতে আমাদের নিজস্ব ব্যবস্থা থাকা উচিত। তামিলনাড়ুর স্থানীয় ভাষা তামিল। আমাদের কাছে ইংরেজি আন্তর্জাতিক ভাষা। বৈচিত্র্যতার মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি ও ভাষার ঐক্য রয়েছে। তামিলনাড়ুতে আমাদের নিজেদের শিক্ষা ব্যবস্থা মেনে চলা উচিত। আমরা নতুন শিক্ষানীতিতে কিছু নতুন ভালো নীতিও অনুসরণ করছি। এবং আমরা তা অনুসরণ করতে প্রস্তুত। হিন্দি ভাষা তামিলনাড়ুর জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে সেখানকার ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ডিএমকের অবস্থানের পুনরাবৃত্তি করে রাজ্য সরকার নীতি হিসেবে দ্বি-ভাষা ফরমুলা অব্যাহত রাখবে এবং হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার যে কোনও প্রচেষ্টার নিন্দা জানান তিনি। তিনি ভাষা ইস্যুতে তামিলনাড়ুর অনুভূতি তুলে ধরতে সমাবর্তন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছেন। কারণ রাজ্যপাল এসব তথ্য কেন্দ্রের কাছে পৌঁছে দেবেন। রাজ্যের শিক্ষার্থীরা যেকোনও ভাষা স্বাধীনভাবে শিখতে পারেন। তারা হিন্দিসহ অন্যান্য ভাষার বিরুদ্ধে নন।

এর আগে, দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বলিউড তারকা অক্ষয় কুমারের মতো পাবলিক ফিগারকে হিন্দি ভাষী রাজ্যগুলোতে প্রবল বিরোধিতার মুখে হিন্দির পক্ষে কথা বলতে দেখা যায়। ভারতের সংবিধান অনুযায়ী ভারত সরকারের দাপ্তরিক ভাষা দেবনাগরী অক্ষরে হিন্দি এবং ইংরেজি। সংবিধানে কোনো জাতীয় ভাষা নেই।দক্ষিণ ভারতের স্কুলে প্রায়ই ভুল হিন্দি পড়ানো হয়, বিশেষ করে তামিলনাড়ুতে। দেশটির স্বাধীনতার আগে ১৯৩৭ সালে এই অঞ্চলে হিন্দিবিরোধী বিক্ষোভ দেখা যায়; যা ১৯৪০ সাল পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। ১৯৬৫ সালে আবারও হিন্দিবিরোধী উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে তামিলনাড়ুতে। পরবর্তীতে তা দাঙ্গায় রূপ নেয়। এতে ৭০ জনের মতো মানুষের প্রাণহানি ঘটে। দাঙ্গার পর ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু অ-হিন্দিভাষী রাজ্যগুলো যতক্ষণ না চায় ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের ওপর হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া হবে না বলে আশ্বাস দেন। পাশাপাশি ইংরেজিকে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হবে।