রহমত ডেস্ক 30 March, 2022 10:21 PM
ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থে বা কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের ঐতিহাসিক বন্ধন নষ্ট না করার আহ্বান জানিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলেন। আমি মনে করি, দুই দেশের সম্পর্ক যে জায়গায় পৌঁছেছে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকার কথা নয়। ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থে বা কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এ রকম একটা ঐতিহাসিক বন্ধনের সম্ভাবনাকে আমরা যেন দূরে ঠেলে না দিই। নোংরা রাজনৈতিক খেলায় দুদেশের সম্পর্ক যেন নষ্ট না হয় এ ব্যাপারে সবাইকে সাবধান থাকতে হবে।
বুধবার (৩০ মার্চ) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ-বিআইআইএসএস অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ আহ্বান জানান। বিআইআইএসএসের চেয়ারম্যান কাজী ইমতিয়াজ হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন, বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন-ভিআইএফ পরিচালক অরবিন্দ গুপ্ত, বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর রিজিওনাল স্টাডিজের চেয়ারম্যান এ এস এম শামসুল আরেফিন ও বিবেকানন্দ আন্তর্জাতিক ফাউন্ডেশনের জাতীয় নিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র ফেলো লে. জেনারেল রাভি কুমার সাওনি প্রমুখ।
ঢাকা ও নয়াদিল্লির সম্পর্ক কোন পর্যায়ে রয়েছে সেটি বোঝাতে একই বছরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফরের প্রসঙ্গ টেনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির একই বছরে কোনো দেশ সফরের ঘটনা বিরল। কিন্তু গত বছর সেটি করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি। এটা আমাদের সম্পর্কের গভীরতার প্রমাণ। এটা যে পরীক্ষিত বন্ধুত্ব, এটা তারই প্রমাণ। দুই দেশের থিংক ট্যাংক, শিক্ষাবিদ, সমাজ বিজ্ঞানীদের উচিত গঠনমূলক লেখা ও নিবন্ধের মাধ্যমে বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে অপপ্রচার এবং বানোয়াট উদ্দেশ্যমূলক প্রচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার চেষ্টা করা।
সীমান্ত হত্যা, পানি ইস্যু নিয়ে অমীমাংসিত অবস্থানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, দুই দেশ এখনও সকল সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারেনি। তারপরও দুই পক্ষের মধ্যে অনেক অমীমাংসিত ইস্যুর নিষ্পত্তি হয়েছে। আমরা আমাদের স্থল সীমান্ত সমস্যার সমাধান করেছি। কিন্তু সীমান্ত হত্যা দুই দেশের সম্পর্কের জন্য অস্বস্তিকর। দুই দেশের সম্পর্কে থাকা ৫৪ নদীর পানি বণ্টন নিয়েও অন্য বিতর্ক আছে। বাংলাদেশ যেহেতু ডাউনস্ট্রিম দেশ তাই আমরা তিস্তা নদী থেকে আরও পানি চাই। মুহুরি, মানু, গোমতী, খোয়াই, দুধকুমার এবং ধরলা এই ৬ নদীর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিয়ে আমরা একটি কাঠামোগত চুক্তি করতে চাই।