মফস্বল ডেস্ক 16 March, 2022 11:17 AM
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চরমনসা গ্রামে গোয়ালঘর থেকে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত নারূব নাম শিমু আক্তার (২৩)।
বুধবার (১৬ মার্চ) ভোরে ওই গ্রামের হারিছ মাঝির বাড়ির গোয়ালঘরে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ দেখা যায়। এরপর থেকেই তার শ্বশুর হারিছ মাঝি পলাতক রয়েছে। শিমুর পরিবারের দাবি, এটি আত্মহত্যা নয়। পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
সিমুর পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় ৮ বছর আগে চরমনসা গ্রামের ওমান প্রবাসী আবুল বাশারের সঙ্গে পাশের কুশাখালী গ্রামের সিরাজ মিয়ার মেয়ে শিমুর বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ছয় বছরের একটি ছেলে রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই শিমুর সঙ্গে প্রায়ই শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদরা ঝগড়া করতেন।
নিহত শিমুর মা বকুল বেগম বলেন, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি। শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। এখন আত্মহত্যা বলে প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল আমিন মাঝি বলেন, ওই পরিবারে পূর্ব থেকেই কলহ চলে আসছে। একাধিকবার আমি সালিস করেছি। মৃত্যুর ঘটনা শুনে ঘটনাস্থল গিয়েছি। কলহ জের ধরেই ঘটনাটি ঘটেছে। তবে হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা বলতে পারছি না।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। ঘটনাটি এখনো কেউ আমাকে জানায়নি।
এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: চট্টগ্রাম লক্ষ্মীপুর লক্ষ্মীপুর সদর