রহমত ডেস্ক 07 March, 2022 12:01 AM
গ্রামের অসহায় ও দুঃস্থ, গরীব মানুষের সু-চিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকার প্রাণ কেন্দ্রে প্রায় ২০টির ও অধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতালের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত কল্যাণপুরে স্থাপিত হচ্ছে মুসাফির শেল্টার হোমসের ‘মুসাফিরখানা’। আগামীকাল (৮ মার্চ) মঙ্গলবার বিকাল ৪ টায় রাজধানীর কল্যাণপুরে শহীদ মিনার রোডে উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
‘মুসাফির খানা’ উদ্বোধন করবেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন-ডিএনসিসির ১১নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর দেওয়ান আবদুল মান্নান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন, শহর সমাজসেবা কার্যক্রম অঞ্চল-৮এর সমাজসেবা অফিসার আবদুস সালাম, স্বাগত বক্তব্য রাখবেন মাওলানা মুহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ, সভাপতিত্ব করবেন মাওলানা রুহুল আমীন সাদী।
অত্র মুসাফিরখানা থেকে যে সকল উল্লেখযোগ্য হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসা সেবা নিতে সহজ হবে। সেগুলোর তালিকা নিম্নোক্ত : ১. জাতীয় হ্রদ রোগ ইনস্টিটিউট ২. সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ৩. জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ৪. জাতীয় মানসিক হাসপাতাল ৫. পংগু হাসপাতাল ৬. ঢাকা শিশু হাসপাতাল ৭. জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ৮. বক্ষব্যাধি হাসপাতাল (যক্ষা হাসপাতাল) ৯. জাতীয় নিউওরোসাইন্স হাসপাতাল ১০. বারডেম হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতাল, টেকনিক্যাল মোড় ১১. ডেলটা ক্যান্সার হাসপাতাল ১২. চর্মরোগ ও যৌন রোগ হাসপাতাল ১৩. ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ১৪. ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশন ১৫. ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ, কল্যাণপুর ১৬. বাংলাদেশ স্পেশালিষ্ট হসপিটাল, কল্যাণপুর ১৭. ট্রমা সেন্টার, শ্যামলী ১৮. বাংলাদেশ আই হসপিটাল, মিরপুর ১৯. ল্যাব এইড,মিরপুর-১, ২০. কেয়ার হসপিটাল, শ্যামলী২১.পপুলার হসপিটাল, শ্যামলী।
মুসাফির শেল্টার হোমসের চেয়ারম্যান মাওলানা রুহুল আমীন সাদী বলেন, মুসাফির শেল্টার হোমসের কর্মসূচি হলো, মূলত যেসব অসুস্থ মানুষ শহরে চিকিৎসার জন্য আসেন তাদের জন্য থাকার একটি ঠিকানা করতে চাই। এই ঠিকানার নাম হবে, মুসাফিরখানা। গরিব মানুষের জন্য গ্রাম থেকে শহরে আসতে এমনিতেই প্রচুর টাকা ব্যয় হয়ে থাকে। তার উপর শহুরে ডাক্তারের ফি, বিভিন্ন এক্সরে ও পরীক্ষার ফি দিতেই জান শেষ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। কিন্তু দিনশেষে এই লোকগুলোর নিকট হোটেলে থাকার মতো টাকা থাকেনা। বাধ্য হয়ে ফুটপাতকেই বেছে নেয় থাকার স্থান হিসেবে। আমরা এই মানুষগুলোর জন্য কিছু করতে চাই।
তিনি বলেন, দূরের জেলা থেকে আসা এসব মানুষের জন্য থাকার ব্যবস্থার পাশাপাশি ফ্রি খাওয়াদাওয়া, ফ্রি এম্বুলেন্স সার্ভিস ও সামর্থ্যের আলোকে অবস্থাভেদে চিকিৎসা ব্যায়েও অংশগ্রহণ করতে চাই। এই কাজে তরুণদের একটি এনার্জেটিক টিম স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করবে। আমরা চাই এমন একটা সিস্টেম তৈরি করতে যাতে সারাদেশে এই উদ্যোগ সবাই নিতে পারেন। অসংখ্য মুসাফিরখানা যেনো তৈরি হয়। সরকারের নিয়মাবলী মেনে নিয়ে সবাই এই খেদমতে যেনো অংশগ্রহণ করতে পারি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের এই উদ্যোগের প্রথম মুসাফিরখানা হবে ঢাকার অদুরে সাভারের এনাম মেডিকেলের কাছাকাছি একটি স্থানে৷ অবশ্য এই জায়গার চারপাশে আরও অনেক অনেক হাসপাতাল বিদ্যমান রয়েছে। ঢাকার বড় বড় হাসপাতালগুলোর কাছাকাছি আরও অনেকগুলো মুসাফিরখানা করতে চাই৷ ক্রমান্বয়ে সারাদেশে এই কাজ শুরু হবে ইনশাআল্লাহ।ঢাকার কয়েকটি স্থানে কয়েকটি মুসাফিরখানা তৈরির আলোচনা চলছে। আশাকরি খুব দ্রুত প্রাথমিক কাজগুলো সম্পন্ন করে ঘোষণা দিতে পারব। কিছু শর্ত সাপেক্ষে লোকজন মুসাফিরখানায় থাকতে পারবেন।
এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: ঢাকা ঢাকা মিরপুর মডেল