| |
               

মূল পাতা রাজনীতি জিয়াউর রহমান গণতন্ত্রের জন্য কী করেছিলেন?


জিয়াউর রহমান গণতন্ত্রের জন্য কী করেছিলেন?


রহমত ডেস্ক     01 March, 2022     04:39 PM    


বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, আগামী সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই হবে এবং সেই নির্বাচনে বিএনপিকে আসতে হবে। কিন্তু বিএনপি যদি নির্বাচনে না এসে দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করার চেষ্টা করে তাহলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তা শক্ত হাতে দমন করবে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না। জিয়াউর রহমানের অনুসারীরা যখন এই দেশে গণতন্ত্রের কথা বলে, গণতন্ত্রের জন্য মায়াকান্না করে তখন আমার ইচ্ছে করে তাদের ডেকে বলি, আপনারা পেছনে ফিরে থাকিয়ে দেখেন, দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান গণতন্ত্রের জন্য কী করেছিলেন?

সোমবার (২৮ ফেব্রয়ারি) রাজধানীর সোনারগাঁও রোডে শহীদ সেলিম-দেলোয়ার স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শহীদ সেলিম-দেলোয়ার স্মৃতি পরিষদের সভাপতি ড. আব্দুল ওয়াদুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য মনিরুজ্জামান মনি, ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় প্রমুখ।

হানিফ বলেন, বিএনপি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। মির্জা ফখরুল কোন নিরপেক্ষ নির্বাচন সরকার খুঁজছেন? আপনার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অতীতে বহুবার বলেছেন, বাংলাদেশে পাগল এবং শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়। আপনারা কি সেই পাগল-শিশু খুঁজে বেড়াচ্ছেন? নিরপেক্ষ সরকারের নাম দিয়ে যদি মনে করেন দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটবেন তাহলে ভুল করবেন। যদি চিন্তা করেন দেশে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করে সরকারের পতন ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসবেন এটাও ভুল। আপনাদের এমন স্বপ্ন দুঃস্বপ্নই থাকবে। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করার চক্রান্ত শুরু হয়েছিল। ক্ষমতায় আসার পর জিয়াউর রহমানের প্রথম লক্ষ্য ছিল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করা। শেখ সেলিম এবং দেলোয়ার হত্যাকাণ্ড ছিল একটি নির্মম হত্যাকাণ্ড। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর থেকে আওয়ামী লীগকে খণ্ড-বিখণ্ড করার চেষ্টা করেছেন জিয়াউর রহমান। তিনি জানতেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি একমাত্র আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে। তাই তিনি আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।

তিনি আরো বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি এ উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য বারবার নানা সময়ে, বিনা কারণে, বিনা ইস্যুতে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছে। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকতে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র করার চেষ্টা করেছে। তারা এখনো সুযোগ পেলে এই দেশকে পিছিয়ে দেবে। ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের জন্য এই বিএনপি-জামায়াত যৌথভাবে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে তাণ্ডব চালিয়েছিল। ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম করেছিল। তারা সরকারে থাকা অবস্থায় জনকল্যাণমূলক কাজ করেনি। তারা তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য জনগণ থেকে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে। এই ৫০ বছরে নির্বাচন কমিশনের গঠনে আইন ছিল না। বিএনপি, জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় থেকেও কেউ আইন করেনি। আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন কমিশনে করেছি। আমাদের আইনমন্ত্রী সংসদে বিল উত্থাপন করলেন। বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদসহ সকল সংসদ সদস্যের সম্মতিতে গৃহীত হলো। এরপর বিএনপি বলে তড়িঘড়ি করে আইন তৈরি করা হয়েছে। এসব ডাবল স্ট্যান্ডার্ড কথাবার্তা! সকালে ডান, বিকেলে বাম এ তাদের অবস্থা।