রহমত ডেস্ক 27 February, 2022 06:09 PM
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, নবগঠিত নির্বাচন কমিশন-ইসি আওয়ামী লীগ সমর্থিত আমলা নির্ভর হয়েছে। এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়েও সন্দেহ আছে। এই নির্বাচন কমিশনের আগামী কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করবে যে তারা নির্বাচন নিরপেক্ষভাবে করতে পারছে কিনা। তখনই বোঝা যাবে এই কমিশনের নিরপেক্ষতা কতটুকু। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে যাব কিনা সেটির জন্য শুধু নির্বাচন কমিশনই বিষয় নয়। নির্বাচনে যাব কিনা সেটির জন্য আরও দুই বছর বাকি। জাতীয় পার্টি এমনিতে একটি নির্বাচনমুখী দল। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে আমরা দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেব। অগ্রিম বলা সম্ভব হচ্ছে না।
আজ (২৭ ফেব্রুয়ারি) রবিবার বনানী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ, আবু হোসেন বাবলা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মহাসচিব চুন্নু বলেন, গতকাল থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যম নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়ে জাপা চেয়ারম্যানের ও আমাদের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছে। কিন্তু প্রতিক্রিয়াটা আমরা ব্যক্তিগতভাবে দিতে চাই নাই। আমরা মনে করি এটা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। দলের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিক্রিয়া দেওয়া উচিত। সবার সঙ্গে আলোচনা করে আজ দলীয়ভাবে প্রতিক্রিয়া দিচ্ছি। আমাদের প্রতিক্রিয়া হলো- যে নির্বাচন কমিশন করা হয়েছে সেটি আওয়ামী লীগ সমর্থিত একটি আমলা নির্ভর কমিশন। এ কমিশন নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করতে পারবে কিনা, তা নিয়ে আমাদের যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
তিনি বলেন, বিএনপি কী বলল সেটা আমাদের বিষয় না। কারণ বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তারা নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারেনি। জাতীয় পার্টি একমাত্র দল যারা বাংলাদেশের প্রথম বলেছিল দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করলেও সেটি নিরপেক্ষ হবে না। গত ৩০ বছরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে বিএনপি বলেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, আবার বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগ বলেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। তারমানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এ দুটো দলই প্রমাণ করেছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না। জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এরশাদ বলেছিলেন, আমাদের সব দলকে একে অপরকে বিশ্বাস করতে হবে। নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনের অধীনে যেসব প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী কাজ করবেন, তারা কমিশনের আদেশ শুনতে বাধ্য। না শুনলে কী হবে সে বিষয়ে কিছু বলা নেই। কিন্তু আমাদের দাবি ছিল, কমিশনের বাইরের যেসব কর্মচারী নির্বাচনের সময় কাজ করবেন, তারা যদি কথা না শোনেন, তাহলে নির্বাচন কমিশনই যেন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে সে ক্ষমতা দিয়ে একটি আইন করা। সে আইনটি সরকার করেনি। যদি এই আইনটি করা হয়, তাহলে আমরা মনে করি নির্বাচন কমিশন তার সদিচ্ছা থাকলে কিছু করতে পারবে। তা নাহলে বর্তমান নিয়মে সুষ্ঠু নির্বাচন দুরূহ বিষয় হবে।