রহমত ডেস্ক 27 February, 2022 06:03 PM
নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করে বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে নষ্ট করে দিয়েছিল। বাংলাদেশের সেই হারানো ঐতিহ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সততা ও দক্ষতা দিয়ে আবার সঠিক জায়গায় ফিরিয়ে এনেছেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হারানো বাংলাদেশকে সত্য এবং সঠিক জায়গায় নিয়ে এসেছেন। বিগত ১৩ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের কল্যাণে সাংবাদিকদের পাশে যেভাবে দাঁড়িয়েছেন, অন্য কোনো প্রধানমন্ত্রী এভাবে সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়াননি। কোনো কিছু বলার আগে বা দাবি দেওয়ার আগেই তিনি সাংবাদিকদের পাশে থাকেন। সাংবাদিকদের একজন অভিভাবক হিসেবে দাঁড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ (২৭ ফেব্রুয়ারি) রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সভাপতি মামুন ফরাজীর সভাপতিত্বে বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু প্রমুখ।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংবাদকর্মীদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করেছেন তিনি। সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা আজ অলংকারের মতো হয়ে গেছেন। সাংবাদিকদের দুঃখ কষ্ট অধিকার আদায়ের কথা সাংবাদিকদের বলার আগেই প্রধানমন্ত্রী সেটা বাস্তবায়ন করে দেন, যা অতীতে কোনো সরকার করেনি। সাংবাদিকদের পক্ষে থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা বলেছেন প্রয়োজন হলে এই আইন পরিবর্তন হবে। সাংবাদিকদের কোনো সমস্যা হবে আমরা সেটা চাই না। একটা রাষ্ট্র সুশৃঙ্খলভাবে চলতে হলে আইনের ভিত্তিতেই চলতে হবে। তবে দেশে কোনো অপরাধী আইনের বাইরে থাকবে না। সাব-এডিটররা সারা দিন-রাত কাজ করেন। পরিবারেও সময় দিতে পারেন না। বাইরে সংগঠন গোছানোর সুযোগ তাদের কমই থাকে। তারপরও তারা সুন্দর একটা সংগঠন করে যাচ্ছেন এ জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ বলেন, স্বাধীনতার পর গণমাধ্যমের কথা কেউ ভাবেনি। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশকে মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধু যখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন তখনই সপরিবারে তাকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধু যখন গণমাধ্যমকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করেছিলেন তখন তাকে হত্যা করা হয়। শুধু সাংবাদিকই নয় সমস্ত বাংলাদেশের মানুষকে নিয়ে তামাশা করেছিল পাকিস্তানিরা। সেজন্য বাংলাদেশের কোনো মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়নি। এটাই নির্মম বাস্তবতা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আর কেউ পত্রিকায় বঙ্গবন্ধু শব্দটাই লিখতে পারেনি। আর যারা বঙ্গবন্ধু শব্দটি লিখেছিল তারা পর দিন অফিসে যেতে পারেনি।