| |
               

মূল পাতা আন্তর্জাতিক ইউক্রেনে রাশিয়ার কর্মকাণ্ড গণহত্যার শামিল : জেলেনস্কি


ইউক্রেনে রাশিয়ার কর্মকাণ্ড গণহত্যার শামিল : জেলেনস্কি


আন্তর্জাতিক ডেস্ক     27 February, 2022     06:30 PM    


জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার ভোটদানের ক্ষমতা বাতিল করতে বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, এটি সন্ত্রাসবাদ। তারা ইউক্রেনীয় শহরগুলোতে আরও বেশি বোমা বর্ষণ করতে যাচ্ছে। তারা আরও বেশি চতুরতার সাথে আমাদের শিশুদের হত্যা করতে যাচ্ছে। আমাদের ভূমিতে একটি অশুভ শক্তি এসেছে, যাকে অবশ্যই ধ্বংস করা হবে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড গণহত্যার শামিল। আজ (২৭ ফেব্রুয়ারি) রবিবার  এক সংক্ষিপ্ত ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি এসব কথা বলেছেন বলে খবর দিয়েছে রয়টার্স।

রবিবার অনলাইনে অপর এক পোস্টে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের আবাসিক এলাকায় বোমাবর্ষণ করছে মস্কো। আগ্রাসী শক্তি পশ্চিমাপন্থি দেশটির আরও গভীরে আঘাত করতে চায়। ইউক্রেনে গত রাতটি ছিল অত্যন্ত নৃশংস। তারা আবাসিক এলাকায় বেসামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে একের পর এক গুলি ও বোমাবর্ষণ করেছে। আজ দেশে এমন কোনো জিনিস নেই; যা দখলদাররা লক্ষ্যবস্তু করছে না। তারা সবার বিরুদ্ধে লড়ছে। তারা জীবন্ত সবকিছুর বিরুদ্ধ লড়ছে। আগ্রাসী শক্তিরা কিন্ডারগার্টেন, আবাসিক ভবন এমনকি অ্যাম্বুলেন্সেও হামলা করছে। রুশ সৈন্যরা শহরের সব জায়গায় রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে, যেখানে কোনো সামরিক স্থাপনা নেই এবং কখনোই ছিল না। ইউক্রেনের ভাসিলকিভ, কিয়েভ, চেরনিগিভ, সুমি, খারকিভ এবং অন্যান্য অনেক শহরে এখন এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যেমনটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আমাদের ভূমিতে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল।

এদিকে, আগ্রাসনের চতুর্থ দিনে এসে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে হামলা জোরদার করেছে। ইতোমধ্যে নোভা কাখোভকা নামে দেশটির কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ একটি শহর দখলে নিয়েছে রুশ সৈন্যরা। নিউ কাখোভকা নামেও পরিচিত এই শহরটি ছোট হলেও কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কাখোভকা শহরটি দিনিপার নদীর তীরে অবস্থিত এবং এই নদী দিয়ে ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা যায়। এছাড়া ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত খেরসন শহর এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত বারদিয়ানস্ক শহর রুশ সেনারা পুরোপুরি অবরোধ করেছে বলে দাবি করেছে মস্কো।

অন্যদিকে, সংঘাতের অবসানে ইউক্রেনের সাথে আলোচনার জন্য রাশিয়ার পাঠানো প্রতিনিধিদের একটি দল বেলারুশে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে মস্কো। কিন্তু বেলারুশে আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়া যদি বেলারুশ ভূখণ্ড থেকে ইউক্রেনে হামলা বন্ধ করে তবে মিনস্কে আলোচনা সম্ভব হতে পারে। এছাড়া এই সংকটের সমাধানে অন্যান্য স্থানে আলোচনার দরজা খোলা রয়েছে।আপনার ভূখণ্ড থেকে যদি কোনো আগ্রাসী পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে আমরা মিনস্কে কথা বলতে পারি... অন্যান্য শহর আলোচনার স্থান হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। আমরা অবশ্যই শান্তি চাই। আমরা সাক্ষাৎ করতে চাই। আমরা যুদ্ধ শেষ করতে চাই। আমরা আলোচনার স্থান হিসেবে ওয়ারসো, ব্রাতিসলাভা, বুদাপেস্ট, ইস্তাম্বুল, বাকুর নাম প্রস্তাব করেছি।