| |
               

মূল পাতা রাজনীতি বিএনপি ক্রমাগতভাবে সবকিছুতেই ‘না’ বলছে : তথ্যমন্ত্রী


বিএনপি ক্রমাগতভাবে সবকিছুতেই ‘না’ বলছে : তথ্যমন্ত্রী


রহমত ডেস্ক     15 February, 2022     08:28 PM    


বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি ক্রমাগতভাবে সবকিছুতেই ‘না’ বলছে। অথচ আজকে যে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, যেভাবে সার্চ কমিটি রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এমনকি সমাজে বোদ্ধা হিসেবে পরিচিতদের সাথে বসেছেন, এমন অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়ার উদাহরণ অনেক পুরনো গণতান্ত্রিক দেশেও কেউ দিতে পারবে না। বিএনপি ঘরানার বুদ্ধিজীবীরা এবং যারা তাদের পক্ষে সারাক্ষণ কথা বলেন তারাও সেখানে গেছেন এবং বলেছেন- বিএনপির আসলে নাম দেয়া কথা ছিলো, অথচ দিলো না। এই যে সমস্ত কিছুকে বিএনপি ‘না’ বলছে, এটি গণতন্ত্রকে ‘না’ বলার শামিল।

আজ (১৫ ফেব্রুয়ারি) মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইল বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট-পিআইবি মিলনায়তনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ২০২১-২২ অর্থ বছরের প্রথম ধাপের বরাদ্দে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের কল্যাণ অনুদান হিসেবে সারাদেশের ৩০৪ জন সাংবাদিকের জন্য ২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা বিতরণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঢাকা জেলার ১২৪ জন সাংবাদিকদের মাঝে ২ কোটি ৯ লাখ টাকার চেক বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ। পাশাপাশি এদিন করোনা অনুদানের দ্বিতীয় পর্যায়ের অংশ হিসেবে সারাদেশের ৫৩০ জন সাংবাদিকের মাঝে ৫৩ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ বাদলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন, প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, সাধারণ সম্পাদক দীপ আজাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ এবং সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য কাশেম হুমায়ুন প্রমুখ।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, অনেক দেশে জাতিগত সংঘাত হয়েছে। কিন্তু পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে, দিনের পর দিন অবরোধ ডেকে মানুষকে জিম্মি করার রাজনীতি এবং শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা - যা বিএনপি-জামাত করেছে, এটি সমসাময়িক বিশ্বে কোথাও হয়নি। এই যে একটি রাজনৈতিক দল গণবিরোধী রাজনীতি করছে, সেটি গণমাধ্যমে সেভাবে ফুটে উঠছে না। তারা কোন জায়গায় ‘ফুঁ’ দিলেও গণমাধ্যমে বড় করে তুলে ধরা হয়। আবার, আমি কোনো রাজনৈতিক সভায় গেলে দেখি গণমাধ্যমের সবাই হাজির। কিন্তু সাংবাদিকদের এবং সাংবাদিকতা বিষয়ে অনুষ্ঠানে আরো বেশি আসার প্রয়োজন হলেও সেটি হচ্ছে না, যা ভাবা দরকার।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে যেভাবে ৬ কোটি টাকা করোনাকালীন সহায়তা দেয়া হয়েছে এবং হচ্ছে এটি আশেপাশের কোনো দেশে হয়নি। এই বরাদ্দ দেয়ার ক্ষেত্রে আমরা কখনো দলীয় আনুগত্য বিবেচনা করিনি। আমি সবসময় বলেছি, যারা প্রেসক্লাবের সামনে সরকারের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন কিংবা পত্রপত্রিকায় আমাদের বিরুদ্ধে কলাম লেখেন কিংবা টকশোতে গিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন, তিনি যদি এর মধ্যে পড়েন, তাহলে তাকেও সহায়তা দেয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও দেয়া হবে। আমরা যখন নির্বাচন করেছিলাম তখন আমরা দলীয় ব্যানারে নির্বাচন করেছি। আমরা যখন রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছি তখন সমস্ত মানুষের জন্য, সব দলের জন্য কাজ করতে আমরা বদ্ধপরিকর, আমরা কাজ করছি। টিকা নিয়ে সমালোচনাকারী বিএনপি’র সিনিয়র নেতাদেরকে বুস্টার ডোজও দিয়েছি। যারা নেন নাই তাদেরকেও নেয়ার অনুরোধ জানাই। কারণ আপনারা সুস্থ থাকুন আমরা চাই, আপনারা আমাদের সমালোচনা করুন। কারণ গণতন্ত্রে সমালোচনা থাকতে হয়। তাই আপনাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকুক সেটিই আমরা চাই।

তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের আলোকবর্তিকার মতো কাজ করেন, আামাদের দেশে স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশ গঠন সব ক্ষেত্রেই সাংবাদিকরা অনেক ভূমিকা রেখেছেন। কিন্তু আজকে যখন গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে তখন দেখা যাচ্ছে অনেক ভূঁইফোড় সাংবাদিক ও ভূঁইফোড় গণমাধ্যমের জন্ম হয়েছে। এতে করে প্রকৃত সাংবাদিকদের বদনাম হচ্ছে। এটির অবসান হওয়া প্রয়োজন। সেজন্য সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ আমরা নীতিগতভাবে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, একটা নীতিমালার ভিত্তিতে সাংবাদিকদের ডাটাবেজ করা দরকার। সেই কাজটি প্রেস কাউন্সিলকে করার জন্য আমরা অনুরোধ জানিয়েছি। তারা যদি নীতিমালার ভিত্তিতে ডাটাবেজ তৈরি করেন তাহলে প্রকৃত সাংবাদিকরা ডাটাবেজে স্থান পাবেন, আর যারা প্রকৃত নয়, ভূঁইফোড়, তারা ডাটাবেজে স্থান পাবেন না। তখন শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে।