রহমত ডেস্ক 14 February, 2022 04:39 PM
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনাকালেই আমরা ৪০ হাজার লোক নিয়োগ দিয়েছি। মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালগুলো আমরা সার্বক্ষণিকভাবে চালু রেখেছি। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ হলেও মেডিকেল কলেজগুলোতে আমরা বন্ধ করিনি। করোনা চিকিৎসায় এক মাসে এক হাজার বেডের হাসপাতাল তৈরি করেছি, যেখানে ২৫০টি আইসিইউ। দেশে যা কিছু উন্নয়ন হয়েছে, সব শেখ হাসিনার উদ্যোগে হয়েছে। স্বাস্থ্য খাতে যত উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছি, করোনা নিয়ন্ত্রণে সফলতা, টিকা ও চিকিৎসায় সফলতা, সব তার নির্দেশনা আর সহযোগিতায় করতে সক্ষম হয়েছি।
আজ (১৪ ফেব্রুয়ারি) সোমবার দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অক্সিজেন প্ল্যান্ট উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. খলিলুর রহমান প্রমুখ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আফ্রিকার দেশগুলোতে যেখানে মাত্র ১২ শতাংশ মানুষ টিকা পেয়েছে, সেখানে আমাদের টার্গেটেড জনগোষ্ঠীর ৮৫ শতাংশই টিকার আওতায় চলে এসেছে। দেশে এ পর্যন্ত প্রায় ১৭ কোটি ডোজ টিকা আমরা দিতে পেরেছি। টিকার জন্য আমাদের টার্গেটেড জনগোষ্ঠী ১১ কোটি ৫৫ লাখ, তাদের মধ্যে প্রায় ৮৫ শতাংশকেই আমরা টিকার আওতায় আনতে পেরেছি। আমাদের হাতে এখনও মজুদ আছে দশ কোটি টিকা। এরপরও বেশকিছু লোক এখনও টিকা নেয়নি। তাদের মধ্যে অনীহা আছে। আমি আহ্বান করব, এখনও যারা টিকা নেননি, তারা দ্রুত টিকা নিয়ে নিন।
তিনি বলেন, করোনার সময়ে আমাদের চিকিৎসক-নার্সরা দিনরাত পরিশ্রম করেছেন, এখনও করে যাচ্ছেন। চিকিৎসক-নার্সসহ অনেক স্বাস্থ্যকর্মীকে আমরা হারিয়েছি। শুধু তারা নিজেরাই নয়, তাদের পরিবারের সদস্যরাও আক্রান্ত হয়েছেন, প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের প্রতি আমরা শ্রদ্ধা জানাই, আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। তারা এ ক্রান্তিলগ্নে যেভাবে সেবা দিয়েছেন, তাদের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে সবসময় শ্রদ্ধা থাকবে। স্বাস্থ্য খাতকে ডিজিটালাইজড করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সব কাজ এগিয়ে চলছে। শিগগিরই অনুমোদনও হয়ে যাবে। আমরা প্রতিটি জেলা হাসপাতালে ১০টি করে ডায়ালাইসিস, ১০টি করে আইসিইউ যোগ করছি। সবমিলিয়ে জেলা হাসপাতালগুলোতে নতুন করে সাড়ে ছয়শ করে আইসিইউ ও সাড়ে ছয়শ করে ডায়ালাইসিস চালু হবে।
তিনি আরো বলেন, আজ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও বেশ কয়েকটি নতুন সেবা আমরা উদ্বোধন করতে পেরেছি। অনেক চিকিৎসা দিয়েছে এ হাসপাতাল। ১ হাজার ৩৫০ বেডের এ হাসপাতালে দেড়শ করোনার শয্যা আছে। এখানে করোনার চিকিৎসাও হচ্ছে, পাশাপাশি নন-করোনা রোগীদের চিকিৎসা হচ্ছে। আমি যখন প্রতিমন্ত্রী ছিলাম, তখন একবার এই হাসপাতালে এসেছিলাম। সে সময় হাসপাতালটিতে খুবই খারাপ অবস্থা ছিল। এখন উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণসহ বেশ উন্নতি হয়েছে। হাসপাতালটি ৮০০ শয্যা থেকে সাড়ে তেরশ শয্যায় উন্নীত হয়েছে।