| |
               

মূল পাতা রাজনীতি স্বেচ্ছায় কারাবরণ করতে থানায় হাজির অর্ধশত আ.লীগ নেতাকর্মী


স্বেচ্ছায় কারাবরণ করতে থানায় হাজির অর্ধশত আ.লীগ নেতাকর্মী


রহমত ডেস্ক     04 February, 2022     01:52 PM    


কুমিল্লার হোমনায় স্বেচ্ছায় কারাবরণ করতে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা থানায় অবস্থান নিয়েছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকের নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী স্বেচ্ছায় কারাবরণ করতে থানায় অবস্থান নেন।

বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে যুবলীগ নেতা খবির খান, মৎস্যজীবী লীগ নেতা এরশাদ খন্দকার ও গাজী তানভিরের বিরুদ্ধে দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার প্রতিবাদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকের নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী স্বেচ্ছায় কারাবরণের জন্য হোমনা থানায় অবস্থান নেয়।

স্বেচ্ছায় কারাবরণের জন্য হাজির হওয়া নেতারা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ, সাধারণ সম্পাদক একএম সিদ্দিকুর রহমান আবুল, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম প্রধান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোশারফ হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক মিয়া ইমন, যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মো. মনিরুজ্জামান টিপু, আওয়ামী লীগ নেতা মো. আলী নেওয়াজ, দিদার আহমেদ, মো. আলাউদ্দিন, যুবলীগ নেতা মো. লুৎফর রহমান লাখ মিয়া, মো. ইয়াসিন, শাজু পল্টু, মো. ইউনুস প্রমুখ।

জানা গেছে, কিছুদিন পূর্বে স্থানীয় সংসদ সদস্যের বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হওয়ার একটি ছবিতে কটাক্ষ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়াকে কেন্দ্র করে যুবলীগ নেতা খবির খান, মৎস্যজীবী লীগ নেতা এরশাদ খন্দকার ও গাজী তানভিরের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ বলেন, তাদের বিরুদ্ধে যে ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে, সেই একই অভিযোগ যেকোনো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আনা যায়। জনস্বার্থে বা ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করার অধিকার সবারই আছে। এ মামলার মাধ্যমে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে হরণ করা হয়েছে। হোমনায় দুই ধারার রাজনীতি বিদ্যমান থাকায় এক গ্রুপকে কোণঠাসা করতে প্রশাসনকে দিয়ে এ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। তাই তারা স্বেচ্ছায় কারাবরণের আবেদন নিয়ে থানায় হাজির হয়েছেন।

হোমনা থানার ওসি আবুল কায়েস আকন্দ জানান, আইন নিজস্ব গতিতে চলবে। নেতারা আসার পর তাদের বলেছি- মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত না হলে আসামিরা মুক্তি পাবেন। চিন্তা করার কোনো কারণ নেই।