রহমত ডেস্ক 27 January, 2022 04:05 PM
প্রধান নির্বাচন কমিশনার-সিইসি কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের বিরুদ্ধে এক কোটি টাকার আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ কমিশনে রয়েছে। আমি সিইসি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরেও তিনি আমার সঙ্গে একাধিকবার দেখা করে সুযোগ-সুবিধা চেয়েছিলেন। কিন্তু তাকে কোনো সুযোগ-সুবিধা না দেওয়ায় তিনি কমিশনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করছে। বদিউল আলম মজুমদারের মতো একজন লোককে তিনি কীভাবে নির্বাচন কমিশনে কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন! শামসুল হুদা কমিশন ক্যান্টনমেন্টের আশীর্বাদ নিয়ে নির্বাচন করেছেন। বদিউল আলম মজুমদার সংবিধান বিশেষজ্ঞ নন, তিনি নির্বাচন কমিশন বিশেষজ্ঞ নন; তাকে কেন নির্বাচন সংক্রান্ত দায়িত্ব দেব। তিনি সংবাদ সম্মেলন বিশেষজ্ঞ।
আজ (২৭ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোটার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি-আরএফইডি আয়োজিত টক শীর্ষক আলোচনায় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সম্প্রতি আরএফইডির কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিইসিকে নিয়ে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানের আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্তের আলোকে ‘আরএফইডি টক উইথ কে এম নূরুল হুদা’ অনুষ্ঠিত হলো। আরএফইডি সভাপতি সোমা ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কাজী জেবেলের পরিচালনায় আরএফইডির সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সিইসি বলেন, বদিউল আলম মজুমদার এই কমিশন নিয়ে অনেক কথা বলে ফেলেন। এটার একটা ইতিহাস আছে। এখানে যোগদানের পর থেকে আমার সঙ্গে দেখা করতে চান।… তাকে নিয়ে অনেক ঝামেলা, অনিয়ম। এক কোটি টাকার আর্থিক অনিয়ম, কাজ না করে টাকা দেওয়া, নির্বাচন কমিশনে সভায় অনিয়ম নিয়ে সিদ্ধান্ত আছে। বর্তমান ইসির সময়ে কাজ না পাওয়ায় ‘ক্ষুব্ধ হয়ে’ বদিউল এখন কমিশনের সমালোচনা করছেন। দুই বছর আমার পেছনে ঘুর ঘুর করছেন। একা একা এসেছেন। খবর পেয়েছি প্রায় ১ কোটি টাকা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ও অন্যান্য অভিযোগ রয়েছে। … এ লোকের সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা করা যায় না, বিশ্বাস করা যায় না। উনি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কোনো বিশেষজ্ঞ..., কাজ নেই। সংবাদ সম্মেলন করার বিশেষজ্ঞ উনি। আমাদের তো তার দরকার নেই। জবাবদিহি অবস্থানের মধ্যে আছি। নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি আপনি নন। আপনি সংবিধান বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি নন। কাগজ দিয়ে বই তৈরি করবেন এ জন্যে নেওয়ার প্রয়োজন নেই। এ কাজ করার কী দরকার। এসব ওয়েবসাইটে আছে। এ ঝালমুড়ি ঠোঙ্গা বানানো ছাড়া কোনো কাজ নাই”। তখন ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার, ইমারজেন্সি সরকার, সেনাশাসিত একটা অবস্থা। ওই অবস্থা আর এখনকার অবস্থা এক না। কাউকে কাজ দিলে আমাকে বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে, যোগ্যতা আছে কিনা, যে কাজের জন্য বলছেন এ জন্যে আপনার প্রয়োজন নেই। তখন ছিল যে অবস্থা সেই কমিশন কীভাবে করছেন, এখানে পারবেন না। নির্বাচন কমিশনের মত ‘জটিল’ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে কারো ‘বাহবা পাওয়ার সুযোগ নেই’। ২০১৭-২০২২ সময়ে ইসির দায়িত্ব পালনে কোনো রাজনৈতিক চাপ ছিল না।