‘হেফাজতে ইসলামকে জঙ্গি বানাইছে ইনু সাহেব’

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি বলেছেন, হেফাজতে ইসলামকে জঙ্গি বানাইছে ইনু সাহেব। আরে জঙ্গি কারে বলে? আন্দোলন তো মানুষই করে। আন্দোলন করবে, আন্দোলন অনেক সময় সহিংসতায় চলে যায়। কিন্তু তারা জঙ্গি নয়, জঙ্গি হচ্ছে সশস্ত্র বিপ্লব যারা করে সরকারকে হঠানোর জন্য, যেটা ইনু সাহেবরা করেছিলেন। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ বঙ্গবন্ধু হত্যার ক্ষেত্র তৈরির করেছিলো  পঁচাত্তর সালে জাসদ যদি ক্ষেত্র প্রস্তুত না করত বঙ্গবন্ধুকে কেউ হত্যা করতে পারতো? বঙ্গবন্ধুকে কেউ এভাবে নির্মমভাবে হত্যা করার দুঃসাহস পেতো? সমস্ত ক্ষেত্র তারা প্রস্তুত করেছিল। আজকে বলে আমরা কিছু জানি না। আজ (২৭ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদে ষোড়শ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, জাসদ ১৯৭৩ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত এই দেশে হাজার হাজার যুবলীগ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ কর্মীদের হত্যা করেছে। অনেক পুলিশ ফাঁড়ি তারা দখল করেছে, পুলিশ ফাঁড়ি লুট করেছে, থানা লুট করেছে, ট্রেজারি লুট করেছে। ঈদের জামায়াতে আমাদের আওয়ামী লীগের এমপিদের তারা হত্যা করেছে দিনের বেলায়। জামায়াতে দাঁড়িয়ে ঈদের জামাতে বসা অবস্থায় হত্যা সেদিন আমি ঢাকা যুবলীগের প্রধান ছিলাম। সেদিন হারুন মোল্লা সভাপতি ছিল। মিরপুর থানার বড় একটা মিছিল নিয়ে এলো খালেক সাহেব। তাদের একটা পত্রিকা ছিল গণকন্ঠ। সেই পত্রিকা পড়ে দেখেন সেদিন কি না বানাইছে আমাদের। চোর-ডাকাত সব কিছু বানাইছে তারা। স্বাধীনতার শত্রু ওই পত্রিকা তারা পড়ত। সমস্ত মানুষকে তারা ক্ষিপ্ত করে তুলেছিল। এই জাসদ আজকে গণতন্ত্রের কথা বলে বঙ্গবন্ধুর কথা বলে। যারা গণতন্ত্রের মর্ম বুঝে না, স্বাধীনতার মর্ম বুঝে না তাদের সঙ্গে আবার কিসের কথা। র‌্যাব যদি একদিন বলে যে রাতে আমরা বের হব না, ক্যাম্পে থাকবো, নামাজ-রোজা করবো তাহলে ওই দিন এই দেশ সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হবে। এতদিন বিএনপি-জামাত লবিস্ট নিয়োগ করল আমরা কেন পাল্টা লবিস্ট নিয়োগ করতে পারলাম না?