| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ক্ষমতায় গেলে বাবাসহ সব হত্যাকাণ্ডের বিচার করা হবে : রেজা কিবরিয়া


ক্ষমতায় গেলে বাবাসহ সব হত্যাকাণ্ডের বিচার করা হবে : রেজা কিবরিয়া


রহমত ডেস্ক     27 January, 2022     08:13 PM    


শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে ও গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলেছেন, নিজ দল ক্ষমতায় গেলে বাবা এস এম কিবরিয়াসহ সব হত্যাকাণ্ডের বিচার করা হবে। যারা তদন্ত হতে দেয়নি এবং প্রভাবিত করেছে তাদেরও একদিন বিচারের আওতায় আনা হবে। এ হত্যাকাণ্ডের আসল মদদদাতা কে, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত গ্রেনেডের উৎস কি -এ দুটি প্রশ্নের উত্তর বের করতে আমরা সবসময় বলে আসছি। কিন্তু এ বিষয়ে তদন্তকারীদের আগ্রহ ছিল কম, ছিল রাজনৈতিক হস্তক্ষেপও। এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তিনটি অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। তিনটিতেই ছিল ভুল। একটির সঙ্গে আগেরটির কোনও সম্পর্ক নেই। সময় আসিতেছে, আমার বাবাসহ সব হত্যা ও গুমের বিচার হবে। আমার বাবা সারাজীবন দেশের জন্য কাজ করেছেন। বৈদ্যেরবাজারে আওয়ামী লীগের জনসভায় আহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর তিনি মারা যান। এরপর ১৬ বছর বাবার হত্যার বিচার নিয়ে প্রহসন হয়েছে। বাবার হত্যার বিচার নিয়ে প্রহসন আর কত দিন চলবে?

আজ (২৭ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানী কবরস্থানে এস এম কিবরিয়ার কবর জিয়ারত শেষে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব আতাউল্লাহর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, রাশেদ খান, ফারুক হাসান, মহাফুজুর রহমান, ডা. শাহ আজাদ, যুবঅধিকারের মনজুর মোরশেদ, তারেক রহমান ও শ্রমিক অধিকারের আব্দুর রহমান। মৃতুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা ও হবিগঞ্জে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- হবিগঞ্জের বৈদ্যেরবাজারে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শোক র‌্যালি, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা। কিবরিয়া স্মৃতি সংসদসহ বিভিন্ন সংগঠন এই কর্মসূচি পালন করবে। কর্মসূচিতে সবাইকে অংশ নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের ১৭ বছর পূর্ণ হলো আজ ২৭ জানুয়ারি। দীর্ঘ সময়েও হত্যা মামলাটির বিচারকাজ শেষ হয়নি। ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি বিকেলে  হবিগঞ্জ সদর উপজেলার এক জনসভা শেষে বের হওয়ার পথে গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া। চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। ওই হামলায় তার ভাতিজা শাহ মঞ্জুরুল হুদা, আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা আবদুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী নিহত হন, আহত হন ৭০ জন। এ ঘটনার পরদিন তৎকালীন হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খান এমপি বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্টেম্ফারক আইনে দুটি মামলা করেন। মামলায় তিন দফা চার্জশিট দেওয়ার পর হত্যা ও বিস্টেম্ফারক আইনের মামলা দুটি সিলেটের দ্রুত বিচার আদালতে বিচারাধীন। শাহ এ এম এস কিবরিয়া কর্মজীবনে পররাষ্ট্র সচিব, এসকাপের নির্বাহী সচিবসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন শেষে অবসর গ্রহণের পর ১৯৯৪ সালে আ’লীগে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালে আ’লীগ ক্ষমতায় এলে তিনি অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০১ সালে তিনি হবিগঞ্জ-৩ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি ছিলেন আ’লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়কারী।