| |
               

মূল পাতা রাজনীতি আ’লীগ চায় একদলীয় শাসনব্যবস্থা : রিজভী


আ’লীগ চায় একদলীয় শাসনব্যবস্থা : রিজভী


রহমত ডেস্ক     24 January, 2022     07:00 PM    


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে চায় আর বিএনপি চায় বহুদলীয় গণতন্ত্র। আমি আগেও বলেছি, তাদের এবং আমাদের মাঝে পার্থক্য রয়েছে। তারা একটি একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে চায় আর বিএনপি চায় বহুদলীয় গণতন্ত্র। তাদের এবং আমাদের বক্তব্যেতো পার্থক্য থাকবেই। আজ (২৪ জানুয়ারি) সোমবার বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা মরহুম জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে ক্রীড়া সংগঠক মরহুম আরাফাত রহমান কোকো'র ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার বনানীস্থ কবরে কোরানখানি, ফাতিহা পাঠ এবং শ্রদ্ধা শেষে  তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, অবরুদ্ধ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের দাবিতে যখন বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন, তখন সেই গুলশানের বিএনপি কার্যালয় অবরুদ্ধ রাখার জন্য চারিদিকে বালুর ট্রাক, কাঠের ট্রাক রাখা হয়েছিলো। গোল মরিচের স্প্রে করা হয়েছিলো। তখন প্রবাসে থাকা দেশনেত্রীর ছোট সন্তান আরাফাত রহমান কোকো মা'র প্রতি এই অন্যায়, অবিচার সহ্য করতে পারেননি। এই কষ্টে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। লাশ দেশে আনা হলো গুলশান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ মায়ের কাছে। অবরুদ্ধ মায়ের কোলে সন্তানের লাশ দেখে শুধু খালেদার পরিবারই নয়, গোটা জাতি শোকে বিহবল হয়ে পড়ে। এত অত্যাচার, অবিচার, অনাচার শুধু খালেদা জিয়াকে দূর্বল করার জন্য। কোকোর মৃত্যু নিছক একটি মৃত্যুর ঘটনা নয়, বরং সামগ্রিক আন্দোলন, গণতন্ত্র মুক্তি আন্দোলন, জনগণের মুক্তি আন্দোলনে আত্মাহুতি। আমরা যদি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে ফিরিয়ে আনতে পারি, তাহলে তার এই আত্মদান সার্থক হবে।

তিনি আরো বলেন, তড়িঘড়ি করে সংসদে নির্বাচন কমিশন গঠন আইন ওঠানোর মধ্যে সরকারের ষড়যন্ত্র রয়েছে। সরকার নিজেদের পকেটের লোক দিয়ে সার্চ কমিটি করার ষড়যন্ত্র করছে। মুজিব কোট পরিহিত লোকদের সার্চ কমিটিতে আনা হবে। সার্চ করে যেসব ব্যক্তিদের নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ দেওয়া হবে, তারাও মুজিব কোট পরা মানুষই হবেন। বিনাভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিত্বহীন সরকারের পাস করা নির্বাচন কমিশন আইনে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী যেভাবে চাইবেন সেভাবে হবে। যেভাবে হুদা-রকিব কমিশন করা হয়েছিল, ওই রকম আরেকটি কমিশন তারা আগামীতে করবেন। সেখানে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হবে না। নির্বাচন কমিশনের খসড়া আইনে দণ্ডপ্রাপ্তদের ইসি হওয়ায় বোঝা যায় গত ১৪ বছরে যারা অন্যায়-অত্যাচার করেছেন, তারাই ইসি হতে পারবেন। অর্থাৎ সরকার তাদের অনুগত লোকদের ইসি হিসেবে নিয়োগ দিতে চায়। কোনো ভদ্রলোককে তারা চায় না।