| |
               

মূল পাতা রাজনীতি শাবিপ্রবির ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত : ডা. জাফরুল্লাহ


শাবিপ্রবির ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত : ডা. জাফরুল্লাহ


রহমত ডেস্ক     22 January, 2022     10:50 PM    


শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-শাবিপ্রবির ভিসির নির্দেশে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদেরকে পুলিশ পিটিয়েছে বলে দাবি করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ভিসির অপরাধ কী সেটা দেখতে চাই না, শুধু পুলিশ দিয়ে পেটানোর জন্য ছাত্রদের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। আমি মনে করি শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। কারণ শিক্ষামন্ত্রী তাদেরকে ডেকে পাঠাচ্ছেন। শিক্ষামন্ত্রীর উচিত তাদের কাছে গিয়ে মিমাংসা করে দেওয়া। টাই যথেষ্ট, আজকেই পদত্যাগ করে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়া উচিত উপাচার্যের।

আজ (২২ জানুয়ারি) শনিবার ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে মাওলানা ভাসানীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।  ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক হাবীবুর রহমান রিজুর পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের নেতা অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, গণসংহতি পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণ-অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর প্রমুখ।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন,  আজ মাওলানা ভাসানী বেঁচে থাকলে এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো না, এসব ব্যাপারে আমরা কথা বলতে পারছি না, সব জায়গায় বাধা। সরকারের জবাবদিহিতা নেই। জনগণের মুখের কথা একমাত্র মওলানা ভাসানী আমাদের শিখিয়ে গেছেন। কিন্তু তাকে আমরা ভুলে গেছি। আজ সরকারিভাবে ভাসানী জন্ম ও মৃত্যু দিবস পালন হয় না। পত্র-পত্রিকায়ও সেভাবে উল্লেখ নেই। মজলুমের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে একটা সঠিক নির্বাচন দরকার।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এই সরকার আমাদেরকে বাঁদর খেলা দেখাচ্ছে। তারা মনে করে আমরা সবাই বোকা। আমলা দিয়ে দেশ কখনো সুশাসন হয় না। আসলে সরকার জনগণ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। কাক যেমন চোখ বন্ধ করে মরিচ লুকায় এটা মনে করার কারণ নেই। সারা পৃথিবী আমাদের গণতন্ত্র হরণ, খুন, গুম, অধিকার, দুর্নীতি সবকিছুই জানে। এখন এই বিষয়গুলোর ইস্যুতে আমাদেরকে মিলিতভাবে সংগ্রাম গড়ে তোলা ছাড়া মুক্তির জায়গা আসবে না। আগামী নির্বাচন পূর্ববর্তী দুই নির্বাচনকেও ছাড়িয়ে যাবে, একটা পরিকল্পনা হলো নির্বাচনে প্রধান শিক্ষকদের ব্যবহার করা হবে। জেলা প্রশাসকেরা তো অনুগত আছেই। এসব ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে।