রহমত ডেস্ক 18 January, 2022 07:32 PM
মালয়েশিয়ায় অভিবাসী কর্মীদের নিয়ে সিন্ডিকেট ও বিমানের টিকিট সিন্ডিকেট বন্ধের দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত সমন্বয় ফ্রন্ট-বায়রা। আজ (১৮ জানুয়ারি) মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান বায়রার সভাপতি ড. মোহাম্মদ ফারুখ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রায় তিন বছর শ্রমিক রফতানি বন্ধ ছিল। গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর মালয়েশিয়ার সঙ্গে অভিবাসী কর্মী রফতানি নিয়ে বাংলাদেশের প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি চুক্তি সই হয়। ২০১৬ সালে যে সিন্ডিকেট মালয়েশিয়া অভিবাসী কর্মীদের অর্থ লুণ্ঠন করেছে, সেটি অত্যন্ত সুকৌশলে এবারও দুই দেশের নীতি নির্ধারকদের ভুল তথ্য প্ররোচনা দিয়েছে এবং শক্তি ও অর্থ দিয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মী রফতানির জন্য চুক্তিতে একটি শর্ত জুড়ে দিয়েছে। শর্তটি হলো বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানিকারকদের নির্বাচন করার ক্ষমতা মালয়েশিয়া সরকারের হাতে রাখা। এ শর্তের কারণে আবারও সিন্ডিকেট হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এবং সিন্ডিকেটকে উৎসাহিত করা হয়েছে। আমাদের দাবি খুবই সাধারণ ও স্বাভাবিক। কোন প্রকার সিন্ডিকেট, মনোপলি ও শ্রেণি বিভাজন ছাড়া বৈধ এজেন্সির জন্য সব শ্রমবাজার উন্মুক্ত রাখা সরকারের স্থায়িত্ব ও কর্তব্য। তাই সব বৈধ লাইসেন্সকে মালয়েশিয়াতে শ্রমিক রফতানির সুযোগ দিতে হবে।
বায়রার মহাসচিব মোস্তফা মাহমুদ বলেন, ২০১৯ সালের আইন অনুযায়ী আমাদের সরকার শ্রমিকদের লাইসেন্স দেবে। কিন্তু কারা ব্যবসা করবে সেটা ঠিক করবে মালোয়েশিয়ার সরকার। আমি মনে করি এটা আমাদের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করা। আমার দেশ থেকে কারা কাজ করবে, সেটা নির্ধারণ করব আমরা, মালয়েশিয়ান সরকার বা অন্য কোনো সরকার নয়। জনশক্তি রফতানিতে কোনো সিন্ডিকেট, অস্বাভাবিক বিমানভাড়া নয়। দুটিই জাতির জন্য এবং এ ট্রেডের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। লাইসেন্স যার ব্যবসা তার নীতিতে আমরা বিশ্বাসী, সমঅধিকার ও সমান সুযোগে বিশ্বাস করি। সিন্ডিকেটের তৎপরতা বন্ধ করতে হবে, বন্ধ করতে হবে বিমানভাড়ার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি।