রহমত ডেস্ক 17 January, 2022 10:40 PM
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের নামের আগে ডাক্তার পদবি না লেখার বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের জারিকৃত চিঠি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার স্বার্থ সংরক্ষণ জাতীয় কমিটি। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানান কমিটির সদস্য সচিব ডা. শেখ মো. ইফতেখার। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- কমিটির আহ্বায়ক ডা. মো. শাখাওয়াত ইসলাম ভূঁইয়া, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. দিলিপ কুমার রায়, হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের রেজিস্ট্রার ও সচিব ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ডা. ইফতেখার বলেন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ২৯ নং ধারা শুধুমাত্র অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসক, ডেন্টাল চিকিৎসক এবং এলোপ্যাথিক চিকিৎসার সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের জন্য প্রযোজ্য হতে পারে। বিএমডিসি আইন ২০১০ এর ২৯ নং ধারা বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের জন্য প্রযোজ্য নয়। কেননা বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ও শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালিত হয় সরকারের জারি হওয়া দ্য হোমিওপ্যাথিক প্রাকটিশনার্স অর্ডিনেন্স ১৯৮৩ এর বিধি-বিধান দ্বারা।
তিনি বলেন, হোমিওপ্যাথিক অধ্যাদেশ ১৯৮৩ এর ৩৩ নং ধারা, মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ১২ ধারা, ভেটেরনারি কাউন্সিল আইন ২০১৯ এর ২৩ (২) ধারা (প্রস্তাবিত) ও মন্ত্রিপরিষদের নীতিগত অনুমোদিত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা আইন ২০২১ এর বিভিন্ন ধারা উপধারাসহ সরকারের জারি হওয়া বিভিন্ন সময়ের অফিস আদেশ, প্রজ্ঞাপন ও নীতিমালা অনুযায়ী বাংলাদেশের নিবন্ধিত হোমিপ্যাথিক চিকিৎসকরা তাদের নামের আগে ডাক্তার (ডা.) পদবি ব্যবহারে অধিকার সংরক্ষণ করেন। বিষয়টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও গ্রহণযোগ্য। ভারত, পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকরা তাদের নামের আগে ডা. পদবী ব্যবহার করে থাকেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে জারি হওয়া ওই স্মারকপত্রটি অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আপিল বিভাগে গৃহীত আবেদনটির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের নামের আগে ডা. পদবী ব্যবহার প্রসঙ্গে কোনো কার্যক্রম গ্রহণ ও মন্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। গত ৫ তারিখে স্বাস্থ্য অধিদফতরের উপ-পরিচালক (আইন শাখা) কর্তৃক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের নামের আগে ডা. পদবি ব্যবহার না করার কথা উল্লেখ করে একটি স্মারকপত্র জারি করা হয়; যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত। কেননা ওই বিষয়ে উচ্চ আদালতে একটি আপিল গৃহীত হয়েছে এবং নিষ্পত্তির জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।