রহমত ডেস্ক 03 January, 2022 06:42 PM
২০২১ সালে ৩ হাজার ৭০৩ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১২৩৫ জন। এর মধ্যে ৬২৯ জন কন্যাশিশুসহ ১০১৮ জন ধর্ষণের শিকার, ৬২ জন কন্যাশিশুসহ ১৭৯ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার, ২২ জন কন্যাশিশুসহ ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছেন ৩১ জন, ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ৭ জন। আজ (৩ জানুয়ারি) সোমবার দুপুরে মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম এবং সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ১৩টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এ তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৯৩ জন কন্যাশিশুসহ ১৫৫ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। ১৪ জন কন্যাশিশুসহ ৩৩ জন শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন। ৬২ জন কন্যাশিশুসহ ৯৫ জন যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। ৫ জন কন্যাশিশুসহ এসিডদগ্ধের শিকার হয়েছে ২২ জন, এর মধ্যে মারা গেছেন চার জন। অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছেন ৩ জন কন্যাশিশুসহ ২৩ জন। এর মধ্যে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। অপহৃত হয়েছেন ১৮০ জন নারী ও কন্যাশিশু। আর অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে ৮ জন কন্যাশিশুসহ ১১ জনকে। ৬ জন কন্যাশিশুসহ ৪২ জন নারী ও কন্যাশিশুকে পাচার করা হয়েছে। ২ জনকে পতিতালয়ে বিক্রি করা হয়েছে। ১ জন কন্যাশিশুসহ যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৩৮ জন, এরমধ্যে ৪৫ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। ৫৮ জন কন্যাশিশুসহ শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২০৮ জন। ১১৪ জন কন্যাশিশুসহ ৪৪৪ জন নারী ও কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও ১৯ জন কন্যাশিশুসহ ৮৭ জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ১৩১ জন কন্যাশিশুসহ ৪২৭ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ৪৩ জন কন্যাশিশুসহ ১২১ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। আত্মহত্যার প্ররোচনার ঘটনা ঘটেছে ৪টি। ৫ জন কন্যাশিশুসহ আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন ১১ জন। ফতোয়ার ঘটনা ঘটেছে ২টি। বাল্যবিবাহ সংক্রান্ত ঘটনা ঘটেছে ৩২৭টি, এর মধ্যে প্রতিরোধ করা হয়েছে ৪৩টি। ২৩ জন কন্যাশিশুসহ ৬৩ জন সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন। এছাড়াও ২৬ জন নারী ও কন্যাশিশু অন্যান্য নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।