মূল পাতা আন্তর্জাতিক ভারতের কাছে লাল কেল্লার মালিকানা চান মুঘল সম্রাটের বংশধর সুলতানা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক 01 January, 2022 06:26 PM
সম্প্রতি দিল্লির মোগল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহের বাসস্থান রেডফোর্ট বা লালকেল্লার মালিকানার চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পিটিশন দায়ের করেছেন নিজেকে মুঘল রাজবংশের উত্তরাধিকারী হিসেবে দাবি করা সুলতানা বেগম নামের এক নারী। পিটিশনে বলা হয়, দিল্লির সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ জাফরের উত্তরসূরী হিসেবে বর্তমানে সুলতানা বেগম এই কেল্লার প্রকৃত স্বত্বাধিকারী এবং ভারত সরকার বেআইনিভাবে তার সম্পত্তি দখল করে রেখেছে।
সুলতানার পিটিশন খারিজ করে দিয়েছেন দিল্লি হাইকোর্ট। ১৫০ বছর অপেক্ষার পর কেন পিটিশন দায়ের হলো- এই প্রশ্নের 'যৌক্তিক ব্যাখ্যা' দিতে না পারায় গত ২০ ডিসেম্বর বিচারক রেখা পাল্লির বেঞ্চ এই রায় দেন।
তবে পিটিশন খারিজ হলেও তার উত্তরাধিকারের দাবি আসলেই বৈধ কি না, এ বিষয়ে কোনো রুল জারি করেননি আদালত। সুলতানাও তার অধিকার বুঝে নিতে আদেশের বিরুদ্ধে আদালতের উচ্চ বেঞ্চে আপিল আবেদনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মাত্র ১৪ বছর বয়সে নিজের চেয়ে ৩২ বছরের বড় মির্জা মোহাম্মদ বেদার বখতের সঙ্গে বিয়ে হয় সুলতানার। ১৯৬০ সালে জওহরলাল নেহেরু প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে বেদার বখতকে মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের প্রপৌত্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ভারত সরকার। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে সুলতানাও মোগল উত্তরসূরী হিসেবে রাজনৈতিক ভাতা পান।
কলকাতার উপকণ্ঠে হুগলির তীরে ফোরশোর রোড বস্তিতে গিয়ে 'মোগল সম্রাজ্ঞীর' কথা জিজ্ঞেস করলে ছোট ছোট বাচ্চাও বাড়িটি দেখিয়ে দিবে। কিন্তু মোগল সাম্রাজ্যের 'স্বীকৃত এই রানির' বাড়ি এসে তার দুরবস্থা দেখলে সম্ভবত ভেঙে যাবে মন।
নাতির সঙ্গে বস্তির দুই ঘর নিয়ে থাকেন ৬৮ বছর বয়সী সুলতানা বেগম। ঘরগুলো বস্তির অন্যান্য বাড়ির মতোই জীর্ণ। এই বয়সেও একা হাতে সব কাজ করেন সুলতানা। শুধু নামে নয়, মোগল সালতানাতের উত্তরাধিকারী হিসেবে স্বীকৃত মির্জা মোহাম্মদ বেদার বখতের স্ত্রী হিসেবে সত্যিকার অর্থেই তিনি যেন একজন সম্রাজ্ঞী।
সূত্র: এএফপি, দ্য হিন্দু ও টাইমস অব ইন্ডিয়া