| |
               

মূল পাতা জাতীয় সম্প্রতি চুরি-ছিনতাই বেড়েছে : ডিবি প্রধান


সম্প্রতি চুরি-ছিনতাই বেড়েছে : ডিবি প্রধান


রহমত ডেস্ক     28 December, 2021     03:00 PM    


বৈশ্বিক মহামারী মরণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণকালীন রাজধানীতে অনেক দিন সবকিছু বন্ধ ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ধীরে ধীরে সব খুলে দেওয়া হয়। লকডাউন উঠে গেলে হঠাৎ করে বেড়ে যায় মানুষের চলাচলও। এতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ছিনতাইয়ের ঘটনা। এই বিষয়গুলো অস্বীকার করার কিছু নেই। বাসা-বাড়ি ও মার্কেটের আশপাশে ব্যক্তিগত উদ্যোগে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগালে ছিনতাই ও চুরির ঘটনা কমে আসবে। আমরা ডিএমপি থেকেও রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপকভাবে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাচ্ছি। যেকোনো ঘটনা ঘটলেই ডিবি চেষ্টা করে এটা শনাক্ত করতে। আগের চেয়ে ডিবি অনেক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সক্ষমতা ও ডাটা এনালাইসিস কার্যক্রম বৃদ্ধি করেছে। যখনই ঘটনা ঘটে, তৎক্ষণাৎ যদি স্থানীয় থানায় কিংবা ডিবিতে জানানো হয় তাহলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সাম্প্রতিক সময়ে ছিনতাই বেশি হলেও আমরা সঙ্গে সঙ্গে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

আজ (২৮ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার, বিপিএম (বার) এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, রাজধানীর কর্ণফুলী গার্ডেন সিটিতে স্বর্ণের দোকানে চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর গোয়েন্দা রমনা বিভাগ। গ্রেফতারকৃতরা হলো শাহীদ মাতব্বর ওরফে শাহিন, শৈশব রায় ওরফে সুমন ও উত্তম কুমার সুর। গত ১৮ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ ভোর রাতে কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি মার্কেটের মোহনা জুয়েলার্স ও বেস্ট এন্ড বেস্ট ক্রিয়েশন জুয়েল এ্যাভিনিউ জুয়েলার্স নামক দুটি স্বর্ণের দোকান থেকে অজ্ঞাতনামা চোর বিপুল পরিমান স্বর্ণালংকার চুরি করে। এ ঘটনায় রমনা মডেল থানায় একটি মামলা রুজু হয়। মামলাটি ছায়া তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা রমনা বিভাগ।

হাফিজ আক্তার বলেন, মামলাটি তদন্তকালে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রবিবার (২৬ ডিসেম্বর ২০২১) ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানা এলাকা হতে শাহিনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার (২৭ ডিসেম্বর ২০২১) ধারাবাহিক অভিযানে বরিশাল জেলা ও রাজধানীর কোতয়ালী থানার শাখারী বাজার হতে সুমন ও উত্তমকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা রমনা জোনাল টিম। গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত হতে ২২১ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা চুরির ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। চোরাই স্বর্ণ বহনকালে কিছু স্বর্ণ রাস্তায় পড়ে যাওয়ার কথা জানায় তারা। যদি কেউ এধরণের কোন স্বর্ণ পেয়ে থাকে তাহলে নিকটস্থ থানায় জমা দেয়ার জন্য আহ্বান জানান ডিবির এ কর্মকর্তা। মামলা তদন্তে চোরাই স্বর্ণ কারো কাছে পাওয়া গেলে চোরাইমাল রাখার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গ্রেফতারকৃতদেরকে রমনা থানার রুজুকৃত মামলায় বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। চোরাই স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয় না করার আহ্বান জানান তিনি।