রহমত ডেস্ক 13 December, 2021 10:20 PM
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাজনীতি থেকে দূরে রাখার চক্রান্তের পর সরকার এখন খালেদা জিয়ার জীবননাশের ষড়যন্ত্র করছে। তাকে চিকিৎসার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। সরকার জনগণের ওপর অত্যাচার করে বিদেশে দেশের সম্মান নষ্ট করছে, সারা বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে ক্ষমতাসীনরা। আমাদের দুর্ভাগ্য, স্বাধীনতার ৫০ বছরে যখন স্বাধীনতাকে সুসংহত করার কথা, আমাদের সার্বভৌমত্বকে সুসংহত করার কথা, অর্থনৈতিক উন্নয়নকে আরও উপরে নিয়ে যাওয়ার কথা, তখন একটি বিনা ভোটের সরকার ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। যাদের জনগণের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই, আজ তারা সারা বিশ্বে বাংলাদেশে সম্মান ক্ষুণ্ন করছে।
আজ (১৩ ডিসেম্বর) সোমবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর সঞ্চালনায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য বলেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে যাদের কারণে সরকার সেই র্যাব কর্মকর্তাদের পক্ষে সাফাই গাইছে। কিন্তু বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে মানবাধিকারশূন্য হিসেবে চিহ্নিত। নির্বাচন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ধ্বংস করছে, অর্থনীতিতে চলছে লুটপাট। ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর সৃষ্ট অবস্থার সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের চিত্রের খুব পার্থক্য নেই। গণতন্ত্রের কথা বলায় হত্যা করা হয়েছে তরুণ যুবকদের। স্বাধীনতার কথা বললে বর্তমান সরকার জনগণের উপর স্টিম রোলার চালাচ্ছে। হানাদারদের থেকে কোনো অংশে পিছিয়ে নেই তারা। ৭১ সালে হানাদার বাহিনী আমাদের বুদ্ধিজীবীদের তুলে নিয়ে হত্যা করেছিল। সেই সময়ের চিত্রের সঙ্গে আজকের পরিস্থিতির খুব একটা পার্থক্য নেই। এই সরকার জনগণের ওপর নির্যাতন-অত্যাচারের যে স্টিম রোলার চালাচ্ছে তা কোনো মতেই হানাদার বাহিনীর চেয়ে কম না।
তিনি আরো বলেন, গণতন্ত্র পুণঃপ্রতিষ্ঠা না হলে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে না, আমাদের বুদ্ধিজীবীরা প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন শুধুমাত্র দেশের স্বাধীনতার জন্যে, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্যে। আমরা যদি আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুণঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারি তবেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে, তাদের আত্মা শান্তি পাবে। আসুন শপথ গ্রহণ করি, আমরা ঐক্যের মধ্য দিয়ে আন্দোলনের দিকে এগিয়ে যাই। আজ তুরণদের হত্যা করা হয়েছে শুধুমাত্র গণতন্ত্রের (পক্ষে) কথা বলার জন্য। প্রায় দেড়শ সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে শুধু সত্য বলার জন্যে। সাড়ে ৪ হাজার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। অনেক অধ্যাপককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। আমরা দেখছি, আমাদের অনেক ছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে।