রহমত ডেস্ক 04 December, 2021 10:22 PM
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গত কিছুদিন ধরে বিএনপির বক্তৃতা বিবৃতি ও নানা কর্মসুচিতে মনে হচ্ছে বিএনপির একমাত্র মাথাব্যথা খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য। দেশ ও দেশের অন্য কোন বিষয় নিয়ে তাদের কোন চিন্তা নাই। একটি দলের রাজনীতি যখন শুধুমাত্র তাদের নেত্রীর স্বাস্থ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে যায়, সেই দল কখনো জনগণের দল হতে পারে না। খালেদা জিয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহমর্মিতা দেখিয়েছেন, দ-প্রাপ্ত আসামি হওয়া সত্ত্বেও তার পছন্দ অনুযায়ী দেশে সবচেয়ে ভালো হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কারাগারের বাইরে আছেন, পরিবার পরিজনের সাথে আছেন। তার ও বিএনপির ইচ্ছে অনুযায়ী সমস্ত চিকিৎসা হচ্ছে।
আজ (৪ ডিসেম্বর) শনিবার রাতে চিটাগাং ক্লাবে বাংলাদেশ-রাশিয়ার কুটনৈতিক সর্ম্পকের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম ক্লাবের সভাপতি নাদের খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ম্যানটিসকি, ভারতের সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জি, রাশিয়ান কনফেডারেশনের অনারারি জেনারেলবৃন্দ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতায় ছিলেন এবং খালেদা জিয়া যখন দু’বার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন কোন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির জন্য এই ব্যবস্থা তারা করেছিলেন কি না? তার যেটি করেননি, সেটি বঙ্গকন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা করেছেন। সুতরাং তাদের প্রথমেই শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও তাকে ধন্যবাদ জানানো দরকার। তারপরেও খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর বিএনপির যে দাবি এটির পেছনে রাজনৈতিক দূরভিসন্ধি আছে। তিনি আগেও যখন অসুস্থ হয়েছিলেন, তখনো তারা সমস্বরে বলেছিলেন খালেদা জিয়াকে বিদেশ না পাঠালে তিনি কখনও ভালো হবেন না। কিন্তু তিনি বাংলাদেশের চিকিৎসকদের চিকিৎসাতে ভালো হয়ে ঘরে ফিরে গিয়েছিলেন। এখনও কামনা করি তিনি ভালো হয়ে ঘরে ফিরে যান। কিন্তু বিএনপি সেটি চায় কি না এটিই হচ্ছে প্রশ্ন। বিএনপি চায় খালেদা জিয়া হাসপাতালে থাকুন। তাহলে তাদের রাজনীতি করতে সুবিধা হয়।
খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মোহাম্মদ সেলিমের মৃত্যুর বিষয়টি তদন্ত হওয়ার আগেই কারো দিকে আঙ্গুলি নির্দেশনা করে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন, সেটি বলা কতটুকু যুক্তিযুক্ত সেই প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মোহাম্মদ সেলিমের মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক। পোস্টমর্টেম রিপোর্টসহ অন্যান্য ইনভেস্টিগেশন করলে বেরিয়ে আসবে তিনি অন্যকোন অসুখে অসুস্থ ছিলেন কি না। সেটি করার আগে কাউকে দোষারোপ করা সমীচীন হবে না। এই মৃত্যুর জন্য যদি কেউ দায়ী হয়, তদন্তে যদি সেটি বেরিয়ে আসে, তিনি যেই হোক অবশ্যই সরকার ব্যবস্থা নেবে।