রহমতটোয়েন্টিফোর ডেস্ক 31 October, 2021 02:46 PM
বিএনপির রাজনীতিতে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক দল হিসেবে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন বিএনপির রাজনীতিতে নেই, নেই কোনো রাজনৈতিক ইতিবাচক কর্মসূচি। হঠকারী রাজনীতি এবং ধর্মান্ধ ও ক্ষমতালোভী নেতৃত্ব বিএনপিকে আজ কঠিন সময়ের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে।
রোববার (৩১ অক্টোবর) ওবায়দুল কাদের তার বাসভবনে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ভুল থেকে শিক্ষা নিতে না পারাই বিএনপির বড় ব্যর্থতা। আর ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার সৎ সাহস আছে বলেই আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তার পাল্লা এখন অনেক ভারী। ক্ষমতার রাজনীতিতে বিএনপিকে মানুষ আওয়ামী লীগের বিকল্প ভাবতে পারছে না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা সর্বত্র নৈরাজ্য দেখতে পায়, তারা দেশের ভালো কিছু দেখতে পায় না। বিএনপি সকালের স্নিগ্ধ আলোয় দেখে সন্ধ্যার অন্ধকার। তারা এতটাই একচোখা যে গত এক যুগের বেশি সময় সরকারের একটা ভালো কাজও দেখতে পায়নি। বিএনপি জনপ্রত্যাশা থেকে ছিটকে পড়েছে।
বিএনপি নেতারা বলেছেন, চতুর্দিকে নাকি শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা, মানুষ পরিবর্তন চায়। তাদের এমন বক্তব্যের জবাবে কাদের বলেন, নেতিবাচক রাজনীতির কারণে বিএনপির অবস্থাই এখন শ্বাসরুদ্ধকর।
তিনি বলেন, বিএনপি যদি নিজেদের বদলাতে না পারে, তাহলে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হতে হবে মুসলিম লীগের মতো।
কাদের বলেন, ‘দেশের মানুষ বিএনপির উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর লালনপালন থেকে পরিবর্তন চায়, পরিবর্তন চায় বিএনপি জনগণের প্রতি দায়িত্বশীল হোক। জনগণ চায় বিএনপি অগণতান্ত্রিক পথে না হেঁটে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য স্বীকৃত ও সাংবিধানিক পথে আসুক।’
একদিকে নির্বাচন ও আন্দোলনের ব্যর্থতা, অপরদিকে কর্মী সমর্থকদের হতাশা, সবমিলিয়ে বিএনপির রাজনীতিতে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে বলে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, দেশের প্রতিটি খাতে এসেছে ইতিবাচক পরিবর্তন এবং সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রা। এ অবস্থায় দেশের মানুষ বিএনপির অপরাজনীতির পরিবর্তন চায়।
তিনি বলেন, সরকার চায় শক্তিশালী ও দায়িত্বশীল বিরোধীদল। কিন্তু বিএনপি মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঝড় তুলতে চায়। তাদের আন্দোলন কথাসর্বস্ব এবং ভার্চুয়াল। বিএনপির এসব কর্মসূচির সঙ্গে জনগণ ও রাজপথের কোনো সংযোগ নেই।
/জেআর/