| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ইসলামী দল এবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ চাইলেন চরমোনাই পীর


এবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ চাইলেন চরমোনাই পীর


রহমত নিউজ     24 February, 2025     07:23 PM    


ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, স্বৈরাচার পতনের ছয় মাসের বেশি সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও দেশের আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে তা গ্রহণযোগ্য না। রাষ্ট্রের কাছে মানুষের প্রথম ও প্রধান চাওয়া হলো নিরাপত্তা; সেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না বলে রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয়তা নিয়েই জনমনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এই অবস্থা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও দেশের জন্য কল্যাণকর নয়। তাই আইনশৃঙ্খলার নাজুক পরিস্থিতির দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করে দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করা উচিৎ।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে চরমোনাই পীর দেশের বিদ্যমান চরম নাজুক আইনশঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এমন মন্তব্য করেন।

ইসলামী আন্দোলনের আমীর প্রশ্ন রেখে বলেন, আমরা জানি যে, পুলিশ প্রশাসনে স্বৈরাচারের অবশিষ্টাংশ থাকতে পারে যারা আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যথাযথ পদক্ষেপ হয়তো নিচ্ছে না। কিন্তু সরকারকে মনে রাখা লাগবে, এই সরকার দেশের কোটি কোটি বিপ্লবী জনতা সমর্থিত সরকার, যে জনতা স্বৈরাচারের পালের গোদাকে দেশ ছাড়া করেছে। ফলে স্বৈরাচারের কোন অবশিষ্টাংশ প্রশাসনে থেকে গেলে তাদেরকে এতো দিনেও ছুড়ে ফেলা গেলো না কেন? কেন স্বৈরাচারের অপকর্মের হোতাদের এখনো প্রশাসন থেকে সমূলে উচ্ছেদ করা যায় নাই? কোথায় দুর্বলতা? জাতি জানতে চায়।

তিনি বলেন, পতিত আওয়ামী শক্তি পরিকল্পনা করে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা করতে পারে। তবে সেটা প্রতিহত করার দায়িত্ব সরকারের। সেই দায়িত্ব নিতেই হবে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর দেশের সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহবান রেখে বলেন, আমাদের কর্ম এখনো শেষ হয় নাই। স্বৈরাচারের মূল হোতা উচ্ছেদ হলেও তার সাংগ-পাঙ্গরা এখনো দেশে ও প্রশাসনে থেকে গেছে। তারা দেশকে ধ্বংস করার হীন কৌশল অব্যাহত রেখেছে। এমন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনৈক্য দেখা দিলে তারা আবারো গেড়ে বসার চেষ্টা করবে। তার লক্ষণও দেখা যাচ্ছে। তাই নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করুন কিন্তু রেষারেষি ও হানাহানী করবেন না।

তিনি আইন-শৃংখলা রক্ষায় এলাকায় এলাকায় সকল দলের সমন্বয়ে নাগরিক প্রতিরোধ কমিটি গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়ে বলেন, স্বৈরাচারের পতন হয়েছিলো আমাদের পারস্পরিক ঐক্য ও লড়াইয়ের মাধ্যমে। আবারো যদি আমরা সম্মিলিতভাবে ঐক্য গড়ে তুলি তাহলে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতিও ভালো হতে বাধ্য; ইনশাআল্লাহ।