| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ইসলামী দল ‘হাইকমিশনে হামলা ও মমতা ব্যানার্জির বক্তব্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী’


‘হাইকমিশনে হামলা ও মমতা ব্যানার্জির বক্তব্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী’


রহমত নিউজ     03 December, 2024     05:06 PM    


ভারতের একটি উগ্রবাদী সংগঠনের অনুসারীরা ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে পতাকা পুড়ানো ও হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা ইসমাঈল নুরপুরী ও মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, ভারত বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের ষড়যন্ত্র করছে। দূতাবাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন  থাকতে কিভাবে একটি উগ্রবাদী সংগঠনের অনুসারীরা ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে ঢুকে পতাকা পুড়িয়েছে এবং কর্মকর্তাদের পিটিয়েছে। তা আমাদের বোধগম্য নয়। দূতাবাসে হামলার মাধ্যমে ভারত বাংলাদেশের জনগণের  উপর হামলা করেছে। এ হামলার সাথে জড়িতদের দ্রুত বিচার করতে হবে।

নেতৃদ্বয় বলেন, ভারতের পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বাংলাদেশের সম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এখানে জাতিসংঘের শান্তি বাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব করেছেন পশ্চিমবঙ্গের বিধান সভার শীতকালীন অধিবেশনে। প্রতিবেশী দেশের একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে  এই ধরনের  প্রস্তাব উস্কানিমূলক ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং  সার্বভৌমত্ববিরোধী।  এটি একটি স্বাধীন দেশের ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপের হুমকি। এসব উসকানিমূলক সহিংস তৎপরতার দায়দায়িত্ব নরেন্দ্র মোদির সরকারকে বহন করতে হবে।

নেতৃদ্বয় বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে বিজেপি সরকারের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে ভারতে একের পর এক বিক্ষোভের মধ্যে আগরতলার ত্রিপুরায় অবস্থিত বাংলাদেশি সহকারী হাইকমিশনে যে হামলা চালানো হয়েছে কোনও সভ্য জাতি তা করতে পারে না।

ভারত নিজের দেশে তার প্রতিবেশী দেশের কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা দিতে যেখানে ব্যর্থ, সেখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলার কোনও অধিকার তাদের থাকতে পারে না। বাংলাদেশের জনগণ তাদের মাথার ওপর কারো দাদাগিরি সহ্য করবে না।

নেতৃদ্বয়  বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবিলম্বে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এই ঘটনার জন্য বাংলাদেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার আহ্বান জানান । 

বিবৃতিতে তারা বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর থেকেই আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি ভারত সরকার ও কায়েমী স্বার্থবাদী মিডিয়া নানা ধরনের উসকানি তৈরি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে নানাভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করতে তারা চরম মিথ্যাচারের আশ্রয় নিচ্ছে। বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের ষড়যন্ত্র কঠিন পরণতি বয়ে আনবে।