| |
               

মূল পাতা বিশেষ প্রতিবেদন ইসরাইলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা; কোন দিকে যাচ্ছে বৈশ্বিক পরিস্থিতি!


ইসরাইলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা; কোন দিকে যাচ্ছে বৈশ্বিক পরিস্থিতি!


শেখ আশরাফুল ইসলাম     02 October, 2024     02:23 PM    


ইসরাইলে এক রাতেই ১৮১টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকার পরও ইসরাইলের প্রাণকেন্দ্রে এভাবে হামলা চালানোর বিষয়টিকে ইরানের সফল্য হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। 

ইরানের দাবি, তাদের ছোড়া ৯০ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্রই লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। আর মাত্র ১০ শতাংশ ক্ষেপনাস্ত্র ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে ইসরাইল। ফলে ইসরাইলের শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিশ্ব মহলে। 

আমেরিকার সংবাদমাধ্যম সিএনএন হামলার ভিডিও বিশ্লেষণ করে জানিয়েছে, ইসরাইলের নেভাতিম বিমান ঘাঁটিতে অন্তত কয়েক ডজন মিসাইল ছুড়েছে ইরান। যেগুলো একের পর এক ঘাঁটিতে আঘাত হানতে দেখা গেছে।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ইরানের ইসলামিক রেব্যুলেশনারি গার্ড (আইআরজিসি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সাবেক প্রধান ইসমাইল হানিয়া, হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ ও ইরানের রেব্যুলেশনারি গার্ডের কমান্ডারদের হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইসরাইলের উপর এই হামলা চালিয়েছে ইরান। 

আইআরজিসি সতর্কতা দিয়ে বলেছে, ইসরাইল যদি আমাদের মিসাইল হামলার জবাবে ইরানের উপর কোনো হামলা চালায়, তবে এর পরিণতি আরও ভয়াবহ হবে।

ইরানের এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ইসরাইলে মিসাইল ছুড়ে ইরান অনেক বড় ভুল করেছে। এর মাশুল তাদের দিতে হবে। 

তিনি দাবি করেন, ইসরাইলের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কল্যাণে ইরানের হামলা নস্যাৎ করা সম্ভব হয়েছে। আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত।

এদিকে ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরাইলের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে আমেরিকা। এক বিবৃতিতে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, আমরা ইরানের এই ভয়াবহ হামলার নিন্দা জানাচ্ছি এবং আর কোনো হামলা চালানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

বিশ্লেকরা মনে করেন, ইসরাইল যদি ইরানের হামলার প্রতিক্রিয়া দেখাতে যায়, তবে এটা বৈশ্বিক পরিস্তিতিতে মারাত্মক ঝুঁকির কারণ হবে। এমনকি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকেও এগিয়ে যেতে পারে সমগ্র বিশ্ব। 

ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালোনোর পর আনন্দে মাতোয়ারা তেহরানবাসী। এসময় তারা ইরান এবং হিজবুল্লাহর পতাকা হাতে রাস্তায় নেমে আনন্দ উদযাপন করেন। একই চিত্র দেখা গেছে ইসরাইলের ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার ফিলিস্তিনের গাজ্জাবাসীদের মধ্যেও।