| |
               

মূল পাতা জাতীয় গাজীপুরে হাসিনা-মোজাম্মেলসহ আ’লীগের ১৭১ জনের নামে মামলা


গাজীপুরে হাসিনা-মোজাম্মেলসহ আ’লীগের ১৭১ জনের নামে মামলা


রহমত নিউজ     23 August, 2024     07:01 PM    


স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা, সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান, সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমসহ আওয়ামী লীগের ১৭১ নেতাকর্মীর নামে দুই থানায় মামলা হয়েছে।

গাজীপুর মহানগরের গাছা থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এ মামলায় ১১৫ জনের নাম উল্লেখসহ ৩৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। 

বুধবার (২১ আগস্ট) মামলাটি দায়ের করেন কাশিমপুরের লতিফপুর এলাকার আমিনুলের বাড়ির ভাড়াটিয়া মুহাম্মাদ সোহেল রানা।

গাছা থানার ওসি মুহাম্মাদ জিয়াউল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ২১ আগস্ট গাছা থানায় মামলাটি করেন স্থানীয় পূর্ব কমলেশ্বর এলাকার হাজী সাইফুলের বাড়ির ভাড়াটিয়া মুহাম্মাদ রজ্জব আলী। 

গাছা থানার মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে বাদির ছেলে মো. আরিফ বেপারীকে (২৮) গত ২০ জুলাই আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। মামলায় হত্যাকাণ্ডের হুকুমদাতা শেখ হাসিনা ছাড়াও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান, গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, টঙ্গীর আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান মতিসহ ১১৫ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। এতে ৩৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

অপরদিকে, কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মাদ জাহিদুল ইসলাম জানান, কাশিমপুর থানায় হত্যাচেষ্টা মামলায় প্রধান আসামি করা হয় সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে। এতে ৫৬ জনের নাম উল্লেখসহ ২০০-৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। মামলার উল্লেখযোগ্য অপর আসামিরা হলেন- মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. আজমত উল্লাহ খান, কাশিমপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন (৫০), সাধারণ সম্পাদক মীর আসাদুজ্জামান তুলা (৫০)।

কাশিমপুর থানার মামলার বাদি মো. সোহেল রানা এজাহারে উল্লেখ করেন, তিনি একটি কোম্পানির সেলসম্যান হিসেবে বিভিন্ন দোকানে পণ্য সরবরাহ করেন। গত ৪ আগস্ট বিকেল ৪টার দিকে কাশিমপুর থানাধীন চক্রবর্তী বাসস্ট্যান্ডে রাস্তার ওপর অবস্থান করছিলেন। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র-জনতা চক্রবর্তী বাসস্ট্যান্ড অবস্থান করে বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দিতে থাকলে আ ক ম মোজাম্মেল হকের নির্দেশে তিনি ও অন্য নামীয় আসামিরাসহ অজ্ঞাতনামা ২০০-৩০০ জন সন্ত্রাসী বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র রামদা লাঠিসোঁটা নিয়ে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার ওপর আক্রমণ ও গুলি করতে থাকে। এ সময় একটি গুলি তার ডান পায়ে হাঁটুর নিচে লেগে বের হয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।