| |
               

মূল পাতা আন্তর্জাতিক বাংলাদেশ নিয়ে জাতিসংঘের কাছে ১৩ মানবাধিকার সংগঠনের খোলা চিঠি


বাংলাদেশ নিয়ে জাতিসংঘের কাছে ১৩ মানবাধিকার সংগঠনের খোলা চিঠি


আন্তর্জাতিক ডেস্ক     20 August, 2024     05:48 PM    


বাংলাদেশে সাম্প্রতিক আন্দোলনের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাবলী তদন্তের জন্য একটি স্বাধীন আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার ও জবাবদিহি বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠায় সমর্থন করতে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদকে একটি খোলা চিঠি দিয়েছে ১৩টি মানবাধিকার সংগঠন। পাশাপাশি এসব ঘটনায় জাতিসংঘের চলমান স্বাধীন পর্যবেক্ষণ এবং পরিষদের কাছে রিপোর্ট দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনগুলো।

জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদকে দেয়া চিঠিতে ১৩টি সংগঠন লিখেছে, ২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্টের সহিংস ঘটনায় জবাবদিহির জন্য তথ্যপ্রমাণ তদন্ত, সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ এবং বিশ্বাসযোগ্য ও স্বাধীন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করার জন্য ব্যাপক ম্যান্ডেটসহ একটি স্বাধীন বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করার করতে হবে।

তদন্তে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ের ঘটনাবলি হিসাবে নেয়ার কথা বলা হয়েছে। এদের মধ্যে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর ক্ষমতার অপব্যবহার এবং ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকদের সহিংসতা যেমন রয়েছে তেমনি সংখ্যালঘু ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের ওপর হামলার বিষয়ও নিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে।

নবপ্রতিষ্ঠিত স্বাধীন বন্দোবস্ত বা জাতিসংঘের মানবাধিকারের কমিশনের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতির ওপর ব্যাপক পর্যবেক্ষণ ও রিপোর্টিং নিশ্চিত করা এবং নিয়মিত আপডেট নেয়ার কথা বলা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে অপরাধ ও অন্যান্য গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তির ওপর যুক্তিসঙ্গত, নিরপেক্ষ, স্বাধীন, ও কার্যকরভাবে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে কিনা সেটা এসব সংগঠন ও পর্যবেক্ষকের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করা। এ ছাড়া মৃত্যুদণ্ড ছাড়াই সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা।

২০২৪ সালের জুলাই মাসের আগের মানবাধিকার লঙ্গনের জবাবদিহি নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী কাজ করবে এমন একটি জাতীয় স্বাধীন জবাবদিহি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাকে সমর্থন করা। এর আওতা শুধু গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও সত্য প্রকাশ করায় নির্যাতনের মতো বিষয়ে সীমিত থাকবে না।

আন্তর্জাতিক আইন ও গুরুতর মানবাধিকারের অধীনে অপরাধের তদন্ত করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের আইনি ও বিচারিক ক্ষমতাকে জরুরিভাবে শক্তিশালী করতে সমর্থন করা। প্যারিস নীতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ একটি কার্যকর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ আইন ও বিচার বিভাগীয় সংস্থাগুলোর সম্পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করার প্রতিও আহ্বান জানিয়েছে এসব মানবাধিকার সংগঠন।

এই সংগঠনগুলো হলো, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, অ্যান্টি ডেথ পেনাল্টি এশিয়া নেটওয়ার্ক, এশিয়ান ফেডারেশন এগেইনস্ট ইনভলান্টারী ডিসপিরেন্সেস, এশিয়ান ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট জাস্টিস প্রজেক্ট, সিভিকাস: ওয়ার্ল্ড এলায়েন্স ফর সিটিজেন পার্টিসিপেশন, ফর্টিফাই রাইটস, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, ইন্টারন্যাশনাল ট্রুথ অ্যান্ড জাস্টিস প্রজেক্ট, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফেডারেশন, ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর ট্রানজিশনাল জাস্টিস অ্যান্ড পিস, রবার্ট এফ কেনেডি হিউমান রাইটস, ওয়ার্ল্ড অর্গানিসটিও এগেইনস্ট টর্চার।