| |
               

মূল পাতা জাতীয় গণসমাবেশ থেকে যে ঘোষণা দিলো হেফাজত


গণসমাবেশ থেকে যে ঘোষণা দিলো হেফাজত


রহমত নিউজ     10 August, 2024     05:10 PM    


বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসা প্রদান, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনাসমূহের নামকরণ, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসসহ বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনামূলক ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। 

আজ শনিবার (১০ আগস্ট) নৈরাজ্য প্রতিরোধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাজধানীর পুরানা পল্টনে আয়োজিত হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের গণ সমাবেশ থেকে এই ঘোষণা দেওয়া দেওয়া হয়। 

ঘোষণায় বলা হয়, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ কোটা সংস্কার ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শাহাদাত বরণকারী সকল শহীদদের মাগফিরাত কামনা করছে। আহতদের সুচিকিৎসায় সরকার ইতিমধ্যে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তাতে সন্তোষ প্রকাশ করছে এবং এই ধারা অব্যাহত রাখার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে। সেই সাথে তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার জন্য হেফাজতের নেতা-কর্মী, আলেমসমাজ ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে জোরালো পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সেই সাথে হেফাজতে ইসলামের সকল শাখা কমিটিকে সাধ্যমত ভূমিকা রাখারও নির্দেশনা প্রদান করছে।

ঘোষণায় আরও বলা হয়, হেফাজতে ইসলাম মনে করে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনাসমূহের নামকরণের দায়িত্ব কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীবিশেষ কর্তৃক নিজেদের কাধে তুলে নেয়া সমিচীন নয়। এ বিষয়ে যে কোনো অভিপ্রায় কিংবা গণ আকাঙ্খা প্রস্তাবনা আকারে উপস্থাপন করা যেতে পারে। রাষ্ট্রীয় কোনো কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির একটা প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। কোথাও কোথাও বিদ্রোহ-বিশৃঙ্খলা ও তাকে কেন্দ্র করে জনমানসে বিক্ষোভ তৈরির চেষ্টা লক্ষ করা যাচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এ যাতীয় বিক্ষোভ তৈরিতে হেফাজতে ইসলাম বিশ্বাস করে না । চলমান পরিস্থিতিতে দেশব্যাপি শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষাই হেফাজতে ইসলামের প্রধান লক্ষ্য।

শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে হেফাজতের এই ঘোষণায় বলা হয়, হেফাজতে ইসলাম সর্বস্তরের জনগণ, নেতা-কর্মী ও আলেম সমাজকে সর্বোচ্চ ধৈর্য্য এবং সহনশীলতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছে। রাষ্ট্রের যে কোনো প্রয়োজনে আলেমসমাজ কাজ করতে সদা প্রস্তুত। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে তাদের পরামর্শ ও মতামত নেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।

এ সময় মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন ও মুফতী কিফায়াতুল্লাহ আজহারীর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন,  মধুপুর পীর মাওলানা আব্দুল হামীদ, ড. আহমাদ আব্দুল কাদের, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী, মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মুফতী সাখাওয়াত হুসাইন রাজী, মাওলানা খুরশিদ আলম কাসেমী, মুফতী মাসঊদুল করীম, মুফতী নূর হুসাইন নূরীসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ।