প্রবাস ডেস্ক 24 June, 2024 02:35 AM
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস, ভিসা না থাকা, অতিরিক্ত অবস্থানের অভিযোগে বাংলাদেশিসহ ১৭০০ অভিবাসী কর্মী আটক করেছে সেলেঙ্গর মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট জেআইএম। তবে এদের মধ্যে ঠিক কতজন বাংলাদেশি, তা এখনো জানায়নি দেশটির ইমিগ্রেশন।
জানা গেছে, একটি সমন্বিত অভিযানে জালান সুলতান আব্দুস সামাদ ৩৮ বন্দর সুলতান সুলায়মান আবাসিক এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
অভিযান পরিচালক খাইরুল আমিনুস কামরুদ্দিন বলেন, এই আবাসিক এলাকায় তিন মাস ধরে আমাদের গোয়েন্দা বাহিনী এটি পরিচালনা করছে। অভিযানের আটকদের মধ্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই আবাসিক এলাকার বিদেশি নাগরিকদের ব্যাপারে বিভিন্ন অভিযোগ পাই। অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা এই অভিযান পরিচালনা করি। আমরা প্রাথমিক অভিযানে তাদের মধ্যে অনেকের নিকট প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস, ভিসা না থাকা, অতিরিক্ত অবস্থানের মতো অপরাধী পেয়েছি।
খায়রুল আমিনুস বলেন, জিআইএম, সেন্ট্রাল ব্রিগেড জেনারেল অপারেশন ফোর্স (জিওএফ), সেলাঙ্গর ন্যাশনাল রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট (জেপিএন), রয়্যাল ক্ল্যাং সিটি কাউন্সিল (এমবিডিকে) এবং কেডিএনের ২৯৮ জন এই সমন্বিত অভিযানে অংশ নেন।
তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, যেসব বিদেশি নাগরিকদের বৈধতার জন্য ডকুমেন্টেশন প্রক্রিয়া এখনও চলমান রয়েছে তাদেরও আটক করা হয়েছে। আর অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ ধারার পাশাপাশি অন্যান্য অপরাধের সাথে জড়িত আছে তাদের সংখ্যা আমরা এখন দিতে সক্ষম নই।
মালয়েশিয়ার সরকারী গণমাধ্যম বারনামা জানায়, বিকাল ৫টার দিকে অভিযানের সময় বেশিরভাগ বিদেশি নাগরিক ওই আবাসন এলাকায় ফুটবল খেলছিলেন। অনেকে রাতের বাজারের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা করছিলেন। আবার কেউ কেউ সাপ্তাহিক ছুটি কাটাচ্ছিলেন।
এমন সময়ে ইমিগ্রেশনের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের মধ্যে কেউ কেউ গাড়ির নিচে লুকিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি তাদের।