| |
               

মূল পাতা আন্তর্জাতিক এশিয়া হরিয়ানায় ফের সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের


হরিয়ানায় ফের সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের


আন্তর্জাতিক ডেস্ক     18 August, 2023     09:35 AM    


ভারতে বিজেপি-শাসিত হরিয়ানায় ফের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করেছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা।সম্প্রতি হরিয়ানার নূহে একটি ধর্মীয় শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র সহিংসতা সৃষ্টি হয়েছিল।

এবার হরিয়ানার পানিপথে তিরঙ্গা যাত্রার (ত্রিবর্ণ রঞ্জিত জাতীয় পতাকা নিয়ে পদযাত্রা) নামে একটি মসজিদের সামনে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, তিরঙ্গা যাত্রার সময় মসজিদের বাইরে কিছু যুবক তুমুল হট্টগোল সৃষ্টি করে। এ সময় তারা ধর্মীয় স্লোগান দেয় শুধু তাই নয়, তারা ডিজে বাজিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। কিছু যুবক লাঠিসোঁটা নিয়ে মসজিদের ভেতরেও ঢুকে পড়ে বলে অভিযোগ। এ সময়ে তাদের কাছে তিরঙ্গার পাশাপাশি ‘গেরুয়া’ পতাকাও ছিল বলে জানা গেছে। উগ্র হিন্দুত্ববাদী বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের বিরুদ্ধে মসজিদের বাইরে হট্টগোল করার অভিযোগ উঠেছে।

সংশ্লিষ্ট মসজিদের ইমাম ওই ঘটনার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবিতে পুলিশের ডিজিকে চিঠি দিয়েছেন। ওই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে পুলিশি তৎপরতা শুরু হয়েছে। পুলিশ মসজিদের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে।

মসজিদের ইমাম বলেন, তৈয়ব সুরাইয়া তিরঙ্গা বানিয়েছিলেন। এই তিরঙ্গায় আমাদের সমান অধিকার আছে। তিনি বলেন, সকাল ছ’টায় মসজিদে তেরঙ্গা (জাতীয় পতাকা) উত্তোলন করা হয়। আমরা  আমাদের মাথায়ও তেরঙ্গা বাঁধতে প্রস্তুত। মসজিদের ইমাম সাহেবের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের ডিএসপি বলেন, আমরা পরিবেশের অবনতি হতে দেবো না। পুলিশ দুর্বৃত্তদের কঠোরভাবে মোকাবেলা করবে। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে মসজিদের বাইরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

 উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই হরিয়ানার মেওয়াত-নূহতে বিশ্ব-হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়েছিল। এ সময়ে যাত্রাপথে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তা দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সহিংসতায় রূপ নেয়। শতাধিক গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। সাইবার পুলিশ স্টেশনেও হামলা হয়। পুলিশের ওপরও হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। নূহের পর সোহনায়ও পাথর নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণ হয়।  যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়। এর পর সহিংসতার আগুন ছড়িয়ে পড়ে নূহ থেকে ফরিদাবাদ-গুরুগ্রাম পর্যন্ত।

নূহ সহিংসতায় মসজিদের একজন ইমাম সাহেব, দুই হোমগার্ডসহ ছয়জন নিহত হয়েছিলেন। এর পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে নূহ, ফরিদাবাদ, পালওয়ালসহ অনেক জায়গায় ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়া নূহতে কারফিউ জারি করা হয়। এসব ঘটনার জের না মিটতেই এবার রাজ্যটির পানিপথে ফের সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টার কথা প্রকাশ্যে এলো।

-পার্সটুডে