রহমত নিউজ ডেস্ক 10 August, 2023 11:50 AM
সাইবার নিরাপত্তা আইন নামে সরকারের নতুন কালাকানুন, চট্টগ্রাম অঞ্চলের ভয়াবহ বন্যা এবং ডেঙ্গু পরিস্থিতি অবনতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ক্ষোভের সাথে খেলাফত মজলিস নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংস্কার করে সাইবার নিরাপত্তা আইন নামে নতুনভাবে জনগণের উপর দমননীতি চালানোর অপকৌশল করেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সবচেয়ে বিতর্কিত ৪৩ নং ধারাটি নতুন আইনের খসড়ায় প্রতিস্থাপন করেছে। যেখানে পরোয়ানা ছাড়াই পুলিশকে গ্রেফতার, দেহ তল্লাশী ও সরঞ্জাম জব্দের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। মূলত জনগণকে হয়রানির ধারাগুলো বহাল রেখে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করলেও তাতে কোন লাভ নেই। আইন বিশেষজ্ঞ, মানবাধিকার সংস্থা, আগের আইনের অপব্যবহারের শিকার ভুক্তভোগী কিংবা অন্য কোন অংশীজন কাউকে নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া না দিয়ে সরকার নিজেদের মত করে এই কালাকানুন তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। নতুন আইনে মানুষের ভোগান্তি কমবে না। তাই আমরা অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করে অন্য নামে নয়, তা পূর্ণাঙ্গ বাতিলের দাবি করছি।
বুধবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে খেলাফত মজলিস কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠকে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। দলের ভারপ্রাপ্ত আমীর মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, অধ্যাপক মোঃ আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিজানুর রহমান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি আবদুল হক আমিনী, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য হাজী নুর হোসেন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, উত্তর সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা সাইফ উদ্দিন আহমদ খন্দকার প্রমুখ।
আরো উদ্বেগের সাথে খেলাফত মজলিসের নেতৃবৃন্দ বলেন, বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের অনেকগুলো উপজেলা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এতে করে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট সহ যোগাযোগ অবকাঠামো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সরকারকে অবশ্যই বন্যার্ত মানুষকে উদ্ধার ও প্রয়োজনীয় ত্রাণ সরবরাহের দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি দেশবাসীকে সহযোগীতায় এগিয়ে আসার আহ্বান করছি। আমরা মহান আল্লাহর দরবারে প্রবল বর্ষণ ও বন্যার হাত থেকে মুক্তি কামনা করছি। ডেঙ্গুরোগীর চিকিৎসায় হাসপাতালগুলোতে আসন বৃদ্ধি সহ চিকিৎসাসেবার মান বৃদ্ধি করতে সরকারের প্রতি আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি। মশার উৎস নির্মূলে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণে ব্যার্থ হয়েছে পৌর ও সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ। এই ব্যার্থতা জনগণ কখনো ক্ষমা করবে না।
সভায় নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন সহ চলমান আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক সংকট নিরসনে খেলাফত মজলিস ঘোষিত ৮দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ১৪ আক্টোবর ২০২৩ সকাল ১০টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ, চলতি আগস্ট মাসে দেশব্যাপী গণ-সংযোগ ও সেপ্টেম্বর মাসব্যাপী সারাদেশে উপজেলা পর্যায়ে সমাবেশ সফলের জন্য নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়।