| |
               

মূল পাতা রাজনীতি অন্যান্য গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চাইলে ভোটাধিকার থাকতে হবে : জোনায়েদ সাকি


ফাইল ছবি : সংগৃহীত

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চাইলে ভোটাধিকার থাকতে হবে : জোনায়েদ সাকি


রহমত নিউজ     08 August, 2023     10:35 PM    


গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করেনি, কেবল নাম বদলেছেন। এসব করা হয়েছে বিদেশিদের চাপে। এটি একটি আইওয়াশ। অথচ আমরা পুরো আইনের বাতিল চেয়েছিলাম। একটি ভোট মানে শুধুমাত্র ভোটাধিকার নয়। এর মাধ্যমে জনগণ তাদের সার্বভৌমের শক্তিটা প্রয়োগ করেন। প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা যদি না থাকে, তাহলে শাসন জারি থাকবে না, স্বৈরাচারিতা তৈরি হবে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চাইলে ভোটাধিকার থাকতে হবে।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে গণতন্ত্র মঞ্চের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসন-গণজাগরণ-গণঅভ্যুথানের পথে বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক প্রমুখ।

জোনায়েদ সাকি বলেন, এখন ভোটাধিকার মানে হচ্ছে ভোটের গ্যারান্টি। সেটা কী বর্তমান সরকার দিচ্ছে? উত্তর হচ্ছে না। জনগণের সার্বভৌমত্বকে নস্যাৎ করা হয়েছে। তার প্রমাণ কিন্তু ১৯৭২ এর পর থেকেই শুরু হয়েছে। ৭২ থেকে ৭৫ সাল অবধি ফ্যাসিস্টের সমালোচনা চলবে না, সেটা হবে না। কথা বলতেই হবে। গোড়ায় গলদ না ধরলে দেশকে এগিয়ে নেওয়া যাবে না। ভোটাধিকার তাই জবাবদিহিতার সঙ্গে সম্পর্কিত। জবাবদিহিতা মানেই ক্ষমতার ভারসাম্য। ৩১ দফা এখন জাতীয় প্রস্তাবনায় রূপান্তরিত হয়েছে। সরকার সবচেয়ে বড় যে কাজটা করেছে, সেটা হলো দেশের জনগোষ্ঠীকে বিভক্ত করেছে। জাতিবাদের নামে এমন একটি বিভাজন তৈরি করেছে, যা ভয়াবহ পরিণতি নিয়ে আসছে। মানুষ যখন নিজেদের ভেতর বিভক্ত হয়, তখন তারা সবচেয়ে দুর্বল থাকে। তারা তখন নিজেদের স্বাধীনতা হারায়। আজকের এ সংগ্রাম নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম। ৭২ সাল থেকে যে রাজনৈতিক ব্যবস্থা চলে আসছে তা ভেঙে দিতে হবে।