রহমত নিউজ ডেস্ক 12 July, 2023 01:13 PM
২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের পর ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পণ্য খাতে ৬২ বিলিয়ন ডলার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। আর সেবা খাতে ১০ বিলিয়ন ডলার মিলে মোট ৭২ বিলিয়ন ডলার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হলে ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে।
বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এ তথ্য জানিয়েছেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সদ্য সমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫৮ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে ৫৫.৫৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব হয়েছিল। সে হিসাবে ৬.৬৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হলেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আড়াই বিলিয়ন ডলার পিছিয়ে ছিল রপ্তানি আয়। মানুষ তো আশা নিয়ে বাঁচে। বৈশ্বিক প্রতিকূলতার পরও ভালো রেজাল্ট এসেছে। গত বছর কিন্তু গ্যাসের সমস্যা হয়েছে, গ্যাসের দাম বেড়েছে। এমন সমস্যার পরও তারা ভালো অর্জন করেছে। আমরা গত বছরের টার্গেট এচিভ করতে না পারলেও তার আগের বছরের চেয়ে বেশি অর্জন হয়েছে। নির্বাচন আসলে খাওয়া তো বন্ধ হবে না। এটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। নির্বাচন আসলে সব বন্ধ থাকবে না। তবে শুধু খবর রাখবেন আগুন টাগুন না দেয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫৫.৫৬ বিলিয়ন ডলার অর্জিত হয়েছেঅ সেটি আগের বছরের চেয়ে ৬.৭ শতাংশ বেশি। পণ্য ভিত্তিক দেখলে দেখা যায় তৈরিপোশাকে প্রায় ১০ ভাগ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। নিট পণ্যে একটু বেশি। কিন্তু চামড়াসহ অন্যান্য খাতে কিছু ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হওয়ায় ওভার অল ৬.৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আমরা যদি বৈশ্বিক আমাদের রফতানির ডেস্টিনেশন লক্ষ্য করি তাহলে দেখা যাবে আমেরিকা এবং ইউরোপের তাদের মূল্যস্ফীতিসহ অন্যান্য খরচ বেড়ে যাওয়ায় আমাদের পণ্যের চাহিদা কমে গেছে। নভেম্বর থেকে হয়তো বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি কমে আসবে। ফলে নভেম্বর থেকে সারা বিশ্বব্যাপী আমাদের চাহিদা বাড়বে। তার প্রেক্ষিতে আমরা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। আমরা যে গন্তব্য বহুমুখী করার কথা বলতাম সেটি হয়েছে। কিন্তু পণ্যের যে বহুমুখীর কথা বলা হয়েছে, সেটি আদৌ হয়নি।