| |
               

মূল পাতা জাতীয় সরকার প্লাস্টিক দূষণরোধে সার্কুলার ইকোনমি চালু করতে যাচ্ছে : পরিবেশমন্ত্রী


সরকার প্লাস্টিক দূষণরোধে সার্কুলার ইকোনমি চালু করতে যাচ্ছে : পরিবেশমন্ত্রী


রহমত নিউজ ডেস্ক     09 June, 2023     10:58 AM    


পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, প্লাস্টিক দূষণরোধে সার্কুলার ইকোনমি পদ্ধতির পাশাপশি উৎপাদনকারীর সম্প্রসারিত দায়িত্ব (ইপিআর) বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ক একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে,  প্লাস্টিক ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত মাল্টিসেকটোরাল এ্যাকশন প্লানে চারটি টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ৯০ শতাংশ সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যান্য টার্গেটসমূহ পর্যায়ক্রমে ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন)  রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে 'সবাই মিলে করি পণ, বন্ধ হবে প্লাস্টিক দূষণ’ শ্লোগানে বিশ্ব পরিবেশ দিবস, ২০২৩ উপলক্ষ্যে 'এডোপ্টিং সার্কুলার ইকোনমি ফর সাসটেইনেবল প্লাস্টিক ম্যানেজমেন্ট ইন বাংলাদেশ' বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ইউনিডোর বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপ্রেজেনটিটিভ ড. জাকিউজজামান এবং ইউনিডোর রিজিওনাল প্রধান ড. রেনে ভেন বারকেল।  সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ এবং জিআইজেড ইন্ডিয়ার ওয়েস্ট কনসালটেন্ট কার্তিক কাপুর। 

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, এছাড়া, প্লাস্টিক দূষণরোধে বিজনেস মডেল প্রণয়ন করার চেষ্টা চলমান রাখার পাশাপাশি ভোক্তাদের আচরণগত পরিবর্তন বিষয়ে একটি পৃথক স্টাডি করা হচ্ছে। কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২১ এর আওতায় গঠিত জাতীয় কমিটি প্লাস্টিক দূষণ রোধসহ কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মপরিকল্পনা ও বার্ষিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করবে।  কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিচ্ছন্নতা তথা পরিবেশ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের জন্য স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলকভাবে প্রতি বৎসর প্রশংসনীয় বা অনুকরণীয় কাজের স্বীকৃতি প্রদানের বিষয়টি বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও, স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণ, জনসচেতনতা বৃদ্ধি, মনিটরিং ও এনফোর্সমেন্ট শক্তিশালী এবং এই সংক্রান্ত আইন ও বিধির প্রয়োগ নিশ্চিত করা হবে। প্লাস্টিক দূষণ রোধে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের কোন বিকল্প নেই।