রহমত নিউজ ডেস্ক 22 May, 2023 09:29 PM
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা মারামারি করতে চাই না। আমরা কনফ্রনটেশন চাই না। আমাদের দাবি মেনে নাও, নির্দলীয় সরকারের দাবি মেনে নাও, সুন্দরভাবে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হবে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই— তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিতে হবে। তত্ত্বাধায়ক সরকার ছাড়া এখানে কোনও নির্বাচন হবে না। এখন আবার ওবায়দুল কাদের সাহেব স্বমূর্তি ধারণ করেছেন। কিছুদিন কথা বললেন, একটু ভদ্রলোকের মতো। এখন আবার বলতে শুরু করেছেন— প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে, প্রতিরোধ করা হবে।আমি আমার দাবির কথা বলবো, রাস্তায় বলবো, মিটিং-সভা করে বলবো যে, আমি গণতন্ত্র চাই। আমাদের প্রতিরোধ করা হবে। প্রত্যেক দিন শান্তি সমাবেশ করছিলেন আওয়ামী লীগ। এর সমালোচনা হওয়াতে এখন বলছেন— প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। প্রতিরোধ গড়ে তোলার তো চেষ্টা করছেন। গত কয়েকবছর ধরে তো পুলিশ দিয়ে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছেন। রাতের বেলা তুলে নিয়ে গেছো নেতাদের। বাড়ি বাড়ি হামলা করেছো, অত্যাচার করেছো, নির্যাতন করেছো, আইন তৈরি করেছো।
আজ (২২ মে) সোমবার রাজধানীর বনানীর গোল্ডেন টিউলিপ হোটেলের সভাকক্ষে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ-অ্যাবের উদ্যোগে ‘দেশের জ্বালানি খাতে অমানিশা: লুটপাট আর অরাজকতার চালচিত্র’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। অ্যাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজুর সভাপতিত্বে ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব কে এস আসাদুজ্জামান চুন্নুর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনার, ইউনিভারসিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাদা দলের অধ্যাপক লুতফর রহমান প্রমুখ। এতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সংগঠনটির মহাসচিব প্রকৌশলী হাছিন আহমেদ।
সম্প্রতি বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদ সভায় বিমান বহরের সাথে নতুন ১০টি অত্যাধুনিক এয়ারবাস ক্রয়ের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর সভাপতিত্বে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। পরে প্রতিমন্ত্রী গণমাধ্যমকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের ‘এয়ারবাস’ কেনার সিদ্ধান্তের মূল কারণ ‘কমিশন’ বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ বিমান এমনিতে চলতে পারে না, পয়সা নাই, লস হতে হতে এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে, বিমান চালানোর কোনও উপায় নেই। এখন নতুন এয়ারক্রাফট কিনবে এয়ারবাস। আমি বিমান মন্ত্রণালয়ে কাজ করেছি। আমি জানি, এয়ারবাস কেন কিনতে চায়। কারণ বোয়িং ফিডব্যাক দেয় না, কমিশন দেয় না। এয়ারবাস কমিশন দেয়। আমি চ্যালেঞ্জ করছি, এয়ারবাস কমিশন দেয় কিন্তু বোয়িং কোনও কমিশন দেয় না। একারণে বোয়িং বাদ দিয়ে এয়ারবাস কেনা হচ্ছে। কালকে দেখলাম বিমানের এমডি বলছেন, দেশের স্বার্থ চিন্তা করে কেনা হচ্ছে। দেশের স্বার্থ চিন্তা করলে যেগুলো আছে সেগুলোকে এফিসিয়েন্টলি চালানোর চেষ্টা করেন। সেগুলো তো করছে না। নতুন ড্রিমলাইনার নিয়ে এসেছেন, এমন হেন্ডলিং করেন যে অন্য প্ল্যান ওটাকে মেরে দিয়ে একবছর পড়ে থাকে, দুই বছর পড়ে থাকে। এটাই বাস্তবতা। আজকে তাদের (সরকার) একটাই লক্ষ্য কীভাবে চুরি করবে, কীভাবে দুর্নীতি করবে। তারা গোটা বাংলাদেশকে লুট করে শেষ করে দিয়েছে। আরও পাঁচ বছর লুট করতে চায়। সেজন্য এখন তারা ভোট চাইতে শুরু করে দিয়েছে।