মূল পাতা আন্তর্জাতিক উপমহাদেশ ইমরান খানকে গ্রেফতারের পর ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা
রহমত নিউজ ডেস্ক 09 May, 2023 06:46 PM
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ-পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গ্রেফতার করার পর রাজধানী ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। চারজনের বেশি জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আজ (৯ মে) মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের সামনে থেকে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলার একটির শুনানিতে অংশ নিতে আদালতে যাচ্ছিলেন তিনি।
ইমরান খান গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ-পিটিআইর নেতারা দলীয় কর্মীসমর্থকদের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করার ডাক দিয়েছেন। তবে গ্রেফতারকরার পর ইমরানকে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে রাখা হয়েছে নাকি অন্য কোথাও নেওয়া হয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। ইসলামাবাদ পুলিশের টুইটার পেজে জানানো হয়েছে, ‘আল–কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
স্থানীয় টিভিতে প্রচারিত সংবাদে বলা হয়, ইসলামাবাদ হাইকোর্টের সামনে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেখানে জড়ো হয়েছেন পিটিআইয়ের কয়েক শ কর্মী–সমর্থক। সেখানে তাঁদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হয়।
অনাস্থা ভোটে ক্ষমতা থেকে অপসারিত হওয়ার পর থেকে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করছেন ইমরান খান। সম্প্রতি তিনি অভিযোগ করেন, একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছেন। তাঁর এমন অভিযোগে সেনাবাহিনী ক্ষোভ প্রকাশ করে গতকাল সোমবার তাঁকে সতর্ক করে। সেনাবাহিনী সতর্ক করার পরদিনই ইমরান গ্রেফতার হলেন। গতকালের ওই সতর্কতার মধ্য দিয়ে আরো স্পষ্ট হয়, ইমরান খানের সঙ্গে পাকিস্তানের ক্ষমতাধর সেনাবাহিনীর সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে। বলা হয়ে থাকে, সেনাবাহিনীর সমর্থন নিয়ে ইমরান ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে জয় পেয়ে সরকার গঠন করেন। তবে মতবিরোধের জেরে সেনাবাহিনী সমর্থন প্রত্যাহার করলে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে তাঁকে অপসারণ করা হয়।
অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটে পাকিস্তানের সামগ্রিক পরিস্থিতি এখন অত্যন্ত নাজুক। ইমরান খান অপসারিত হওয়ার পর গঠিত জোট সরকারের অবস্থানও নড়বড়ে। আর ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ইমরান খান আগাম নির্বাচন আয়োজনে সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছেন। যদিও শাহবাজ শরিফ সরকার এখনো নিজ অবস্থানে অনড়। গত সপ্তাহের শেষ দিকে লাহোরে এক সমাবেশে ইমরান খান আবারও দাবি করেন, দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ফয়সাল নাসের গত বছর তাঁকে গুপ্তহত্যার চক্রান্ত করেন। এরপর একটি সমাবেশে ইমরানকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। তবে গুলি তাঁর পায়ে লাগে। এদিকে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর গতকাল এক বিবৃতিতে ইমরানের ওই অভিযোগ খারিজ করে বলেছে, এ বানোয়াট ও বিদ্বেষপূর্ণ অভিযোগ অত্যন্ত দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য।