রহমত নিউজ 22 March, 2023 02:12 PM
সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষ সমাজের বোঝা না হয়ে যাতে সুন্দর জীবন-জীবিকা পায় এবং সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকে, সেজন্য আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের সঙ্গে ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমি খুব আনন্দিত যে মানুষকে মাথা গোজার ঠাঁই করে দিতে পারছি। আমি মনে করি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেখানেই থাকুক নিশ্চয়ই তার আত্মা শান্তি পাবে। দুঃখী মানুষের মুখে যে হাসি ঘর পাওয়ার পর, সেই হাসিটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া।
বুধবার (২২ মার্চ) দুপুরে গৃহহীন ও ভৃমিহীনদের ঘর উপহার দেওয়ার প্রকল্পের চতুর্থ পর্যায়ে আরও ৩৯ হাজার ৩৬৫টি ঘর হস্তান্তর উপলক্ষে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই, প্রত্যেকটা মানুষ আশ্রয় পাবে, জীবন-জীবিকা পাবে। সমাজের বোঝা হয়ে থাকবে না। নিজের পায়ে সম্মানের সঙ্গে বসবাস করবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
কোনো এলাকায় ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকলে তা জানানোর অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো এলাকায় যদি কেউ ভূমিহীন পরিবার থাকে সেই তালিকা করবেন। আমরা ঘর করে দেবো।
শেখ হাসিনা বলেন, এই বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশ। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়তে তিনি চেয়েছিলেন। ইনশাল্লাহ তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবো সেটাই আমাদের লক্ষ্য।
সমাজের ভাসমান শ্রেণিকে সরকার আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় এনেছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের দেশে বেদে শ্রেণি আছে। ভাসমান জীবনযাপন করে। শুধু মাছ ধরে তাদের জীবন চলে। তাছাড়া হিজড়া সম্প্রদায় যাদের আমরা স্বীকৃতি দিয়েছি সাংবিধানিকভাবে। এছাড়া আরও যারা ভাসমান শ্রেণি আছে তাদের আমরা পুনর্বাসন করছি। চা শ্রমিকদের জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি। পদ্মা সেতুসহ প্রতিটি প্রকল্পের সাথে সাথে মানুষগুলো যাতে উদ্বাস্ত ভূমিহীন না হয়ে যায় সেজন্য আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের একটাই লক্ষ্য বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে একজন মানুষও ঠিকানাবিহীন থাকবে না।
‘শুধু ঘর নয়, সুপেয় পানি, বিদ্যুৎ, তাদের লোন দেওয়া হচ্ছে। যে যেভাবে জীবনধারন করতে চায়, সবাই সেভাবে নিজের জীবন উন্নত করছে। তাদের কাজগুলো কিন্তু আমাদের অর্থনীতিতে যোগ হচ্ছে।’
গৃহহীনদের আশ্রয় দেওয়ার কাজ শুরু করার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে নতুন উদ্যামে আমরা কাজ শুরু করি।
এ সময় আশ্রয়ণ প্রকল্পের সঙ্গে যারা যুক্ত এবং তা বাস্তবায়নের সঙ্গে ছিলেন, পরিশ্রম করেছেন; তাদের প্রতি ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।