রহমত নিউজ ডেস্ক 13 March, 2023 08:54 PM
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর বর্তমানে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ নানা ধরণের ভাতা পাচ্ছে। বিএনপি আবার ক্ষমতায় এলে সাধারন মানুষের ভাতাগুলো কেড়ে নিয়ে নেতারাই খেয়ে ফেলবে। ‘৯৬ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বিভিন্ন ভাতা চালু করেছিলেন। ২০০১ সালে বিএনপি এসে সেই ভাতা দেয়ার ক্ষেত্রে চরম অনিয়মের আশ্রয় নেয়। তাদের সময় প্রতি ইউনিয়নে মাত্র দুই-চার পাঁচজনে ভাতা পেত, যারা পেত তারা বিএনপি নেতাদের কাজের ছেলে বা আত্মীয়-স্বজন, সাধারণ মানুষ সরকারের ভাতাসহ নানা সুযোগ সুবিধা পেত না।
আজ (১৩ মার্চ) সোমবার বিকালে বঙ্গবন্ধু সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজিত উপকারভোগী সমাবেশে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ইউপি চেয়ারম্যান জহির আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও ইউপি সদস্য আলমগীর তালুকদার রণির সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চিশতি, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদুল আলম চৌধুরী আইয়ুব, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এমরুল করিম রাশেদ, ধর্ম সম্পাদক জসিম উদ্দিন তালুকদার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সৈয়দুল আলম তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মুসলিম উদ্দিন প্রমুখ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে কয়েকটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এর মাধ্যমে ৩০ প্রকার ঔষধ ফ্রি দেয়া হচ্ছে। ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে এই কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছিল। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসার পর কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে সেখানে গরু বেঁধে রাখা হতো। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিক পুনরায় চালু করেন। বর্তমানে দেশে সবমিলিয়ে ২৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার মানুষকে ভাতা দিচ্ছে। রোজা, ঈদ, পূজা-পার্বনে ফ্রি চাল দিচ্ছে। টিসিবি ফ্যামেলি কার্ডের মাধ্যমে চাল, ডাল, তেল, চিনি, পেঁয়াজসহ নানা ধরণের সহায়তা দিচ্ছে। সন্তান স্কুলে গেলে মায়ের মোবাইলে টাকা চলে আসে। এসব সহায়তা আগের কোন সরকার দেয়নি। যে সরকার রাস্তা, ব্রীজ-কালভার্ট করে দেবে, যে সরকার মানুষকে বিনামূল্যে এতো সহায়তা করবে সেই সরকারের পক্ষে থাকা আমাদের সকলের নৈতিক কর্তব্য।
নিজ নির্বাচনী এলাকায় সরকারের পাাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে করোনার সময় ফ্রি মাস্ক, সেনিটাইজার এবং পৌনে দুই কোটি টাকার ত্রাণ দিয়েছেন জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি ঈদ, পূজা-পার্বন এবং দুর্যোগ-দুর্বিপাকে নতুন কাপড়, ফ্রি চাল, ডালসহ নানা সহায়তা দিয়ে আসছি। গত শীত মৌসুমে ১০ হাজার মানুষকে কম্বল দিয়েছি। যারা লম্বা লম্বা কথা বলে সরকারের সমালোচনা করে তারা কোনদিন একমুঠো চাল কাউকে দেয়নি। তাদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে। ভবিষ্যতেও নৌকা মার্কার সরকারকে ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় এনে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার আহবান জানান তিনি।
এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম রাঙ্গুনিয়া