রহমত নিউজ 20 December, 2022 09:28 PM
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশে পর্যাপ্ত ধান-চাল মজুত রয়েছে। খাদ্য ঘাটতি ও দুর্ভিক্ষ হওয়ার কোন আশঙ্কা নেই। অযথা আতংকিত হবেন না। আমরা সচেতন আছি, কেউ অবৈধ মজুত করতে পারবে না, করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বায়োফর্টিফাইড জিঙ্ক রাইসের মাধ্যমে দেশের মানুষের জিঙ্কের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব। পুষ্টিহীনতা দূর করতে জিঙ্ক সমৃদ্ধ ধানের আবাদ বাড়াতে কৃষকদের প্রতি আহবান জানান তিনি।
আজ (২০ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার দুপুরে আগারগাঁও পর্যটন কনফারেন্স হলে গেইন ও হার্বেস্ট প্লাসের সহযোগিতায় খাদ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ‘বায়োফর্টিফাইড জিঙ্ক রাইস অ্যাওয়ার্ড সিরিমনি ২০২২’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন,খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. সাহজাহান কবীর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজির আহম্মদ, হার্বেস্ট প্লাসের কান্ট্রি ডিরেক্টর এ কে এম খায়রুল বাশার, খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইম্প্রুভড নিউট্রেশন-গেইনের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. রুদাবা খন্দকার, পোর্টফলিও লীড ড. আশেক মাহফুজ, মিলার প্রতিনিধি মোতাহার হোসেন এবং কৃষক প্রতিনিধি আইয়ুব নবী। অনুষ্ঠানে বায়োফর্টিফাইড জিঙ্ক রাইস উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ ও বাজারজাতকরণে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১১ জন কৃষক, ৩ জন রাইস মিলার ও ১০ জন খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাকে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আজকাল আমরা রাসায়নিক ফর্মুলায় তৈরি করা জিঙ্ক খাচ্ছি, কিন্তু ভাতের মাধ্যমে যে এই উপাদানটি আমরা প্রাকৃতিকভাবে পেতে পারি তা জানি না। এই বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করা দরকার। দেশের মিলাররা ভোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী চিকন চাল তৈরি করে বাজারে সরবরাহ করে থাকে। কারণ গ্রাহকরা জিংক চালের জন্য উৎসাহ দেখান না এবং কৃষকরাও এই ধান চাষ করতে আগ্রহী হন না। কারণ জিঙ্ক সমৃদ্ধ ধানের চাল একটু মোটা হয়ে থাকে। গ্রাহক বা ভোক্তা চিকন আর চকচকে চাল পছন্দ করেন। দেশের অধিকাংশ মানুষ বায়োফর্টিফাইড জিঙ্ক সমৃদ্ধ চাল সম্পর্কে বা এর গুণগুণ সম্পর্কে মোটেই সচেতন নন এবং তারা এই জিঙ্ক সমৃদ্ধ চাল বা ধান সম্পর্কে জানেনও না। জিঙ্ক সমৃদ্ধ চাল সম্পর্কে ভোক্তাকে আকৃষ্ট করতে গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, সাধারণ চালেও পুষ্টি থাকে, তবে চাল চিকন করতে গিয়ে পুষ্টির অংশ ছেঁটে ফেলা হচ্ছে। সারাদেশে বছরে ৪ কোটি টন ধান ক্রাসিং হয়। মিল মালিকদের তথ্য অনুযায়ী, ‘চাল চিকন করতে গিয়ে ৪ থেকে ৫ শতাংশ চাল ক্ষয় হয়ে যায়। সে হিসেবে বছরে ১৬ লাখ টন চাল নষ্ট হয়ে যায়। এটা না করলে বিদেশ থেকে হয়তো চাল আমদানি করতে হতো না।