রহমত নিউজ ডেস্ক 30 November, 2022 04:37 PM
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর সমগ্র জীবন দেশের মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছেন, বঙ্গবন্ধুর উৎসর্গ অনুসরণ করে তিনি নিজেও দেশের মানুষের জন্য তাঁর জীবন উৎসর্গ করছেন। বাংলাদেশ কখনোই সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেয়নি। সন্ত্রাসের কোনো ধর্ম ও সীমানা নেই। আওয়ামী লীগ কখনো সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেয় না এবং বাংলাদেশের মাটিকে কখনোই এই উদ্দেশে ব্যবহার করতে দেয় না। বাংলাদেশ ও ভারত আলোচনার মাধ্যমে তিস্তা নদীর পানি বণ্টনসহ অমীমাংসিত সব সমস্যার সমাধান করতে পারে। ভারতীয় ব্যবসায়ীদেরকে বাংলাদেশের ১শ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহবান জানান তিনি।
আজ (৩০ নভেম্বর) মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় অ্যাম্বাসেডর এ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। বৈঠকে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক সহজতর করার জন্য ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তি-সিইপিএ নিয়েও আলোচনা করেন শেখ হাসিনা এবং ভার্মা উভয়ই।
বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য একটি নীতি থাকায় বাংলাদেশ সবসময় ভারতের নিকট থেকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায়। প্রতিবেশী দেশগুলির জন্য ভারতের একটি নীতি রয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়। যেকোনো বিষয়ে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার পায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে ভারতের ‘খুব ভালো বন্ধু’, এই অঞ্চলে সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ ও ভারত একসঙ্গে কাজ করবে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ও যোগাযোগ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা দিবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন তিনি।