| |
               

মূল পাতা সারাদেশ মহানগর ‘সরকার প্রতিটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে’


‘সরকার প্রতিটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে’


রহমত নিউজ ডেস্ক     20 November, 2022     06:57 PM    


বাংলাদেশ জাতাীয়তাবাদী দল-বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন বলেছেন, সরকার দেশের প্রতিটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে ফেলেছে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করে বিএনপি এই ভঙ্গুর রাষ্ট্রব্যবস্থাকে পরিপূর্ণভাবে মেরামত করবে। চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশ নেওয়া সবাইকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। যার নেতৃত্ব দেবেন দেশনায়ক তারেক রহমান।

আজ (২০ নভেম্বর) রবিবার খুলনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর ও জেলা বিএনপির যৌথ উদ্যোগে তারেক রহমান ও আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খুলনা মহানগর আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল। আলোচনায় অংশ নেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট স ম বাবর আলী, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট গাজী আব্দুল বারী, নগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলম, বিএফইউজের সহ সভাপতি মো. রাশিদুল ইসলাম, মুসলিম লীগের মহানগর সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আক্তার জাহান রুকু, এনটিভির খুলনা ব্যুরো প্রধান আবু তৈয়ব মুন্সি, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হোসেন বাবু। সভা সঞ্চালনা করেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ও জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী। শুরুতে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত এবং পরে দোয়া মোনাজাত করেন ওলামা দল নেতা মাওলানা ফারুক হোসাইন।

জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, তারেক রহমানকে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয়তম নেতা, তার নির্দেশে দেশের বিভাগীয় সদরগুলোতে লাখ লাখ মানুষ গণসমাবেশ সফল করতে রাস্তায় নেমে আসছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের নিয়মতান্ত্রিক যুদ্ধে বিভাগীয় সদরগুলোতে বিএনপি জয়লাভ করেছে। এরপরও যদি সরকারের ঘুম না ভাঙে তবে ১০ ডিসেম্বরের পরে আন্দোলন দ্বিতীয় পর্বে উন্নীত হবে। সরকারকে বিদায় করার পর আন্দোলনরত সব পক্ষকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করবে বিএনপি।

তিনি আরো বলেন, সিলেটের সমাবেশকে বাধাগ্রস্থ করতে বাঞ্ছারামপুরে ছাত্রদল নেতা নয়নকে হত্যা করেছে। এর আগে দেশের বিভিন্নস্থানে আরো ৮ নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। সরকার বিএনপির আন্দোলনকে রক্তাক্ত করতে চায়। ভয়ভীতি দেখাতে চায়। বিভ্রান্তি ছড়াতে চায়। নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনকে সহিংস করে তুলতে চায়। সব ষড়যন্ত্র চক্রান্ত মোকাবেলা করেই বিএনপি এই যুদ্ধে জয়ী হবে। সরকার বিচার বিভাগকে ধ্বংস করেছে। দুদককে সরকারের অন্যায় কাজের হাতিয়ারে পরিণত করেছে। বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য দুদককে ব্যবহার করা হচ্ছে। পার্লামেন্টে যা খুশি তাই করা হচ্ছে। যাকে তাকে পার্লামেন্টে ঢোকানো হচ্ছে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে আদালত ও দুদকের অসুস্থতা চিরতরে শেষ করা হবে। দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন করে ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি করা হবে।


এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: খুলনা