প্রধানমন্ত্রী ও আ’লীগ সরকার বাড়াবাড়ি করছে : মির্জা ফখরুল

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, হুমকি-ধামকি দিয়ে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমন করা যাবে না। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে প্রমাণিত হয়েছে তারা কতটা প্রতিহিংসা পরায়ণ। তারা যে বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তিনি এই ধরনের উক্তি করেছেন। প্রধানমন্ত্রী যদি মনে করেন উনার হুমকি গণতান্ত্রিক আন্দোলন ব্যাহত করবে, দমন করবে তাহলে তিনি সঠিক জায়গায় বাস করছেন না। যে আন্দোলন শুরু হয়েছে তা কেউ দমাতে সক্ষম হবে না। কোনো হুমকি-ধামকিতে কাজ হবে না। বাড়াবাড়ি আমরা করছি না। বাড়াবাড়ি করছে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সরকার। তারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে মানুষের যে সাংবিধানিক অধিকার সভা-সমাবেশে হামলা চালাচ্ছে। আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে গ্রেপ্তার করাচ্ছে।

আজ (৪ নভেম্বর) শুক্রবার সকালে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি বেশি বাড়াবাড়ি করলে খালেদা জিয়াকে আবারও জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে— প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের জবাবে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, কোনো সভ্য দেশে দেখেছেন সরকার হরতাল দিয়ে দেয়। এরা হরতাল দিচ্ছে। বরিশালে আমাদের সমাবেশের পাঁচ দিন আগে থেকে বলে পরিবহন বন্ধ থাকবে। হঠাৎ করে নৌপরিবহনও বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি পটুয়াখালী থেকে বরিশাল আসার স্পিডবোটও বন্ধ করে দিয়েছে। এটাকে আপনার কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন। তারাই তো সবকিছুকে নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা আবার যেন তেন নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসতে চায়।জনগণ জেগে উঠেছে, যে কোনো ত্যাগের বিনিময়ে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর। জনগণের যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, তাতে গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি হবে। আমরা বিশ্বাস করি, গণঅভ্যুত্থানের কারণে এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হবে।

সময় থাকতে সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, না হলে পালানোরও সুযোগ পাবেন না। বিএনপি তার সিদ্ধান্তে অটল ও অবিচল, আমরা যেকোনো মূল্যে আমাদের সংগ্রাম চালিয়ে যাব। প্রধানমন্ত্রীর কথার উদ্দেশ হচ্ছে জনগণ যে জেগে উঠেছে তা থেকে ভিন্ন দিকে নেওয়া, এবার জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে, তারা কোনো কিছুতে পিছু হটবে না। বিএনপির আর সরকারের ফাঁদে পা দেবে না।  সরকার শুধু বিএনপি নয়, গণ-জমায়েতে মানুষ দেখলেই ভয় পায়। কারণ জনগণ এবার জেগে উঠেছে। তারা কোনো কিছুতে পেছনে ফিরে যাবে না।

বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের গাড়িতে হামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে নয়াপল্টনে আমাদের সমাবেশ ছিল। সেখান থেকে নাকি হামলা হয়েছে। কিন্তু তিনি নিজে একটি টেলিভিশনে যে বিবৃতি দিয়েছেন, সেটা স্ববিরোধী, এক সময় বলছেন পুলিশ ছিল সামনে, আবার বলছেন কেউ ছিল না। এ ধরনের একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই রাতে আমাদের ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং রিমান্ডে নিয়েছে।