রহমত নিউজ 31 October, 2022 04:50 PM
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, মুখ্য সচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবের বাড়ি নির্দিষ্ট করে দেওয়ার জন্যই এ উদ্যোগ। তবে সুইমিং পুলের বিষয়টি পরিষ্কার করে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবের বাড়িটা যাতে এয়ারমার্কড (নির্দিষ্ট) করে দেওয়া হয়। গণপূর্ত অধিদপ্তরের (পিডব্লিউডি) বক্তব্য হলো ধীরে ধীরে মিন্টো রোডের বাড়িগুলো এরই মধ্যে ডিমোলিশড (ধ্বংস) করে দেয়ার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। এগুলো খুবই পুরনো। এগুলো মুখ্যসচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবের বাড়ির বিষয় নয় সব বাড়িগুলো ধীরে ধীরে ভেঙে ফেলা হবে।
আজ (৩১ অক্টোবর) সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের জন্য রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেন এলাকায় ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে পাশাপাশি নির্মিত হবে দুটি বাসভবন। প্রকল্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিটি ভবন হবে তিন তলা। সাড়ে ১৮ হাজার বর্গফুটের।প্রতিটি ভবন নির্মাণে ব্যয় হবে সাড়ে ২১ কোটি টাকা। এর মধ্যে দুটিতেই দুই সেট সুইমিং পুল হবে। এতে ৫ কোটি ১০ লাখ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটের কারণে যখন সরকার দেশবাসীকে কৃচ্ছ্রসাধনের পরামর্শ দিচ্ছে, ঠিক এমন সময়ে প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হলো। বিষয়টি নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিচ্ছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সংসদ উপ-নেতার বাড়ি এরইমধ্যে ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে, কারণ এগুলো সেই ১৯৪০-১৯৪৫ সালের বাড়ি। বাড়িগুলো একটা একটা করে সব নতুন করে তৈরি করা হবে। যেহেতু মুখ্যসচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবের বাসায় অফিস আছে, সেহেতু তাদের বাসাটা যাতে এয়ারমার্কড করে দেওয়া হয়। একটি একটি করে সব বাড়িই নতুন করে নির্মাণ করা হবে। আর এটি ছিল একটি প্রাথমিক বিষয়, এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত কিছু আসেনি। আর সুইমিং পুলের কথা পরিষ্কার করে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে। যদি সুইমিং পুল করতেই হয়, তাহলে ওখানে কয়েকশ বাড়িঘর আছে, তাদের জন্য একটি সুইমিং পুল করা যায় কি না। কারণ সুইমিং পুল তো রক্ষণাবেক্ষণ করা খুবই কঠিন। বাড়িতে বাড়িতে সুইমিং পুল করে রক্ষণাবেক্ষণ করা যাবে না। ওখানে যে ৫০০-৬০০ কর্মকর্তা আছেন, তাদের সবার জন্য কমন কোনো সুইমিং পুল নির্মাণ করা যায় কি না। সে ক্ষেত্রে সেখানে যাদের অ্যালটমেন্ট (বাড়ি বরাদ্দ) আছে, তারা ও তাদের সন্তানরা ওখানে সাঁতার কাটার সুযোগ পাবেন। এটি আলোচনায় এসেছে তিন-চার বছর আগে। আর তা নির্দিষ্ট করে কারো বাড়ি করার জন্য না। এমনকি ইস্কাটন গার্ডেন অফিসার্স কোয়ার্টারে যে ছয়টি বড় ভবন আছে, এগুলো ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এগুলো সেই ১৯৫০ সালের সময়ের বাড়ি। সবগুলোই আসলে নতুন করে নির্মাণ করতে হবে।